সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা তৃণমূলের। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে উলুবেড়িয়ার সভায় মোদীর মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমাপ্রার্থনারও দাবি তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
তৃণমূল সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘‘একটি এলাকায় ভোটপর্ব চলাকালীন দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যত্র প্রচারে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কানাঘুষো চলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম ছাড়াও অন্যত্র প্রার্থী হতে পারেন’। অর্থাৎ, ভোট চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নন্দীগ্রামের মানুষকে বার্তা দিতে চেয়েছেন, তাঁদের প্রতি মমতার আস্থা নেই।’’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও বিদেশমন্ত্রীর অভিযোগ, ভোটপর্ব চলাকালীন একটি অঞ্চলে এমন মন্তব্য করা হলে তার প্রভাব অন্যত্র পড়ে। তাই, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের তরফে দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মমতা নন্দীগ্রাম ছাড়া অন্য কেন্দ্রে লড়বেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে এমন না ঘটে সে দিকে নির্বাচন কমিশনের নজর দেওয়া উচিত।’’
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে ভোটপর্ব চলাকালীন হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে মোদী বলেন, ‘‘দিদি অন্য কেন্দ্র থেকে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে যে গু়ঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তা কি সত্যি? আপনি প্রথমে ওখানে (নন্দীগ্রাম) গেলেন, সেখানকার মানুষ আপনাকে জবাব দিয়েছে। আপনি যদি অন্য কেন্দ্র থেকে লড়তে চান, তা হলেও বাংলা প্রস্তুত।’’ এর পরেই তৃণমূলের তরফে জানানো হয় মমতা অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াবেন না।
বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে অনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। যশবন্ত ছাড়াও সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং শুখেন্দুশেখর রায়। মোদীর নন্দীগ্রাম-মন্তব্যের সমালোচনা করে শুখেন্দুশের বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আপনি বক্তব্য প্রত্যাহার করুন এবং ক্ষমা চান।’’ বয়ালের মতো নন্দীগ্রামের ‘কিছু কিছু বুথ’ বাদ দিলে নন্দীগ্রামে ভাল ভাবেই ভোট হয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের তরফে উত্তেজনাপ্রবণ বুথগুলির তালিকা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ তবে বিজেপি নন্দীগ্রামে পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই গন্ডগোল পাকিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুখেন্দুশেখর বলেন, ‘‘মানুষ বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন। নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটে জিতবেন মমতা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy