টলিউডের বাণিজ্যিক ছবির দুনিয়ায় সোলো হিরোর তালিকা করতে গেলে আপনার নাম দেব-জিতের পরেই আসত। হঠাৎ মাল্টিস্টারার-এ রাজি হলেন কেন?
আমার চিরকালের ইচ্ছে ছিল ‘চুপ চুপকে’র মতো ছবি করার। বা ‘নো এন্ট্রি’, ‘গোলমাল রিটার্নস’। অসম্ভব ভাল কমেডি। যেখানে ইমোশনকেও কমেডির মোড়কে প্রকাশ করা হয়েছে। ‘জামাই ৪২০’-তে সেই কমেডির ফ্লেভারটা রয়েছে। তা ছাড়া আমার রোলটাও...
...আপনার রোলটা কি সোহম আর হিরণ-এর থেকে বেশি বড়?
না, তা বলব না। ছবিতে আমি ভালবাসি একজনকে কিন্তু আমার বিয়ে হয় অন্য কারও সঙ্গে। তারপর অন্য চরিত্ররা চিত্রনাট্যে অ্যাড হতে থাকে।
মানে আপনিই মূল চরিত্র, আর অন্যরা পার্শ্বচরিত্র গোছের? খানিকটা ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ধাঁচের, যেখানে বোমান ইরানি, অভিষেক বচ্চন, ভিভান শাহ আছেন, কিন্তু ফোকাসটা থাকছে শাহরুখের উপর...
না, তা নয়।
অবশ্য ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বা ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ শাহরুখ বা আমিরই নায়িকার সঙ্গে প্রেম করতে পারেন। অন্যরা নয়। এখানে তো...
... এখানে তো সব্বার নায়িকা আছে।
বলিউডে যখন অক্ষয়কুমার, তুষার কপূর, অজয় দেবগনরা মাল্টিস্টারার করছেন, তখন তাঁদের সোলো হিরোর কেরিয়ার মধ্যগগনে ছিল না। আপনার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি...
অস্বীকার করছি না। আমি তখনই লোককে বলতে পারি এটা করব না, যখন আমি অমুক লেভেলে যেতে চাইছি। কিন্তু এখন ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থা যে ‘দ্যাট কাইন্ড অব ফিল্ম’ বলে উদাহরণ আর নেই।
কখনও ভেবেছেন এ ভাবে ঝুঁকি নিলে সোলো হিরোর জায়গায় নতুন কেউ এসে যেতে পারে?
সেই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। কেউ এলেও আমার জায়গাটা ঠিকই থাকবে। নতুন কেউ নাম করতেই পারে। কিন্তু আমার কনফিডেন্স কমবে না। জানি এ ছবিতেও আমি আলাদা করে নিজেকে তুলে ধরতে পারব। আমার কাজ লোকের ভাল লাগলে এ সব প্রশ্ন আর উঠবে না। কিন্তু কিছু কিছু কুচুটে মনের মানুষ থাকবে। ভাল লাগলেও বলবে, ‘‘দেব-জিৎ করেনি। তুই কেন করলি?’’
আপনি তো উত্তরে বলতেই পারেন হৃতিক রোশনও অনসম্বল কাস্টে ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ করেছেন! যদিও হৃতিকের কেরিয়ারে ওঁর বাবার একটা ভূমিকা রয়েছে। আপনার...
বাবা ছবি বানালেই যদি সব হয়ে যেত, তা হলে তো জিতেন্দ্রর ছেলেও বড় স্টার হয়ে যেত। আসল কথা হল আত্মবিশ্বাস। কোনও ছবি আমাকে পিছিয়ে দিলে আমি তা করব না। ইনসিকিওরিটির কোনও জায়গা নেই আমার জীবনে।
আপনি এই ঝুঁকিটা নিলেন, কারণ কেউ এখন আর বলতে পারছেন না টলিউডে কী করলে সেটা চলবে?
এগজ্যাক্টলি। বড় বাজেটের ছবি চলছে না। অ্যাকশন চলছে না। তামিল-তেলুগু রিমেক চলছে না। কী ফর্মুলা ক্লিক করবে সেটা হাতড়ে বেড়াচ্ছি। কে বলতে পারে এ ধরনের ছবি হয়তো ক্লিক করে গেল! আরও একটা কথা বলব। আমার ‘কানামাছি’ শহরে দারুণ প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু গ্রামে চলেনি। শুধু শহর নিয়ে ছ’কোটি টাকা তুলতে পারব না।
কিন্তু এই ছবির বাজেট তো অত না...
নয় তো। তবে ‘কানামাছি’র পর আমরা আর ওই ধরনের ছবি করলামই না। ফিরে গেলাম তামিল-তেলুগু রিমেকে। সেটা না চললেও, রিমেক করেই গেলাম। অথচ ‘কানামাছি’র ধারায় আর একটাও ছবি করলাম না।
কিছু দিন আগে সিআইআই রিপোর্টে ছিল গত বছর ৯০ শতাংশ বাংলা ছবি ফ্লপ করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলা ছবির বাজেট কত হওয়া উচিত?
প্রিন্ট পাবলিসিটি নিয়ে আগে আমার ছবির বাজেট থাকত সাড়ে পাঁচ কোটি। ম্যাক্সিমাম ছ’কোটি। কিন্তু যে ভাবে মার্কেট চলেছে সেখানে বাজেট কমাতেই হবে। প্রিন্ট পাবলিসিটি দিয়ে ম্যাক্সিমাম চার কোটি টাকা খরচা করলে ঠিক আছে। এক বন্ধু আমাকে বলেছিল, ‘‘তোরা ছবিতে হিরোইজম, ফাইট আর বাজেট নিয়ে বেশি ভাবতে গিয়ে ইমোশনকে খুন করে দিস।’’ ইন্ডাস্ট্রিতে এখন একটা স্যাচুরেশন পয়েন্ট এসেছে। আগে বলা হত বাংলা সিনেমা ভিখিরির মতো। এখন আর সেটা কেউ বলে না। কিন্তু আমরা বেশি গিমিক নির্ভর হয়ে গিয়েছি। স্টোরি নেই, কিন্তু গিমিক আছে।
ছবির বাজেট কমলে তো নায়ক-নায়িকাদের ‘পে কাট’-এর কথা উঠবে...
নিশ্চয়ই। ফিল্ম যদি ব্যবসা না করে, তা হলে বেশি চার্জ করে আমাদের কী লাভ? বাংলা ছবির নায়কেরা তো আর মনে করেন না, তাঁদের বাড়ির ছাদে হেলিপ্যাড হবে!
হেলিপ্যাড না হোক, গ্যারেজে বিএমডব্লিউ থাকবে, সেটা তো ভাবেনই। সেটা এবং আনুষঙ্গিক কিছু করতে গেলে তাঁদের ছবি পিছু কত পারিশ্রমিক চাওয়াটা যুক্তিসঙ্গত বলে আপনার মনে হয়?
একটা প্রবাদ আছে যখন সময় থাকে, তখন লুটে নাও। কিন্তু সময় যখন খারাপ তখন কিছু কম্প্রোমাইজ করতেই হয়। ছবি পিছু নায়কদের উচিত ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা নেওয়া। অভিনেতাদের দরকার প্রোডিউসর্স অ্যাক্টর হওয়া। অবস্থা ভাল হলে ২ কোটি চাইতে অসুবিধে কোথায়? আপাতত মিলেমিশে ভেবেচিন্তে পারিশ্রমিক চাইলেই ভাল।
আর নায়িকাদের?
ওরা কত পায় জানি না।
এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন?
ধরে নিন ১৫ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ।
এ বার অস্কারে বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাকট্রেস প্যাট্রিশিয়া আর্কেট বলেছেন ইন্ডাস্ট্রির উচিত নায়িকা আর নায়কদের সমান পারিশ্রমিক দেওয়া। কোথাও কি সেটা সম্ভব?
এটা নির্ভর করে ফিল্মের ওপর। যার ওপর বাজি লাগিয়ে ফিল্ম চলবে, তাকেই প্রযোজক বেশি দেবে। কিছু ছবি ফিমেল ওরিয়েন্টেড হয়। যেমন ‘কহানি’, ‘মৃত্যুদণ্ড’। সেখানে নায়িকাকে ভাল পারিশ্রমিক দিতেই হবে। পারিশ্রমিক ব্যাপারটা নির্ভর করে আপনার যোগ্যতার ওপর। কিন্তু এমনও অনেক হিরোইন আছে, যারা নায়কদের থেকে বেশি পেয়ে থাকে।
টলিউডে এমন কেউ আছেন?
‘ইডিয়ট’য়ে তো শ্রাবন্তীর থেকে আমি কম পেয়েছিলাম।
এখন এটা যদি হয়, সেটা আপনার মেল-ইগোতে আঘাত করবে না?
না। নায়িকা তো ওই জায়গাটা করে নিয়েছে। কিন্তু নিজেকে জিজ্ঞেস করব আমি কী করলাম। তবে এটা ঘটনা যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি খুব পুরুষপ্রধান একটা জায়গা। প্রযোজক যাকে ভরসা করে ছবি বানাচ্ছে, তাকে বেশি দেবে, সেটাই স্বাভাবিক।
অ্যাকশন ছবিতে না-হয় নায়ক বেশি মারধোর করে। নিজেও মার খায়। তারও তো একটা দাম আছে। কিন্তু রোম্যান্টিক ছবিতে তো একজন নায়ক বা নায়িকার কাজের মধ্যে কোনও তফাত থাকে না। একই ভাবে তো দু’জনেই গান গেয়ে, চুমু খেয়ে বেড়ান। তা হলে বৈষম্যটা কেন?
হার্ডকোর রোম্যান্টিক ছবিতে কার পাল্লা ভারী, সেটা বলা কঠিন। যেমন ধরুন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’...
বা ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’। সেখানে কি একই পারিশ্রমিক?
ওখানে শুভশ্রী কত পেয়েছে আমার জানা নেই। তবে কাকে দোষ দেব বা দেব না, তা জানি না। আমার বিশ্বাস একজনকে তো ব্যবসা করতে হবে।
একজন নায়ক চার নম্বর ছবিতে যা পারিশ্রমিক চাইতে পারেন, একজন নায়িকা তাঁর দশ নম্বর ছবিতেও তা চাইতে পারেন না। এটা কি ঠিক?
হুমমম। এটা বলিউডেও হয়। দেখুন, কী ভাবে সিকোয়েলগুলোতে নায়িকারা রিপ্লেস হয়ে যায়। তারা হয়তো অমুক টাকা চেয়েছে। কিন্তু প্রযোজক তা দিতে রাজি হয়নি। পার্ট ওয়ান-এ এক হিরোইনের সঙ্গে বিয়ে হল। সেকেন্ড পার্টে নতুন হিরোইন। আর দেওয়ালে পুরনো হিরোইনের একটা ছবি। আবার উল্টো দিক থেকে ভাবতে গেলে বলাই যায় যে হয়তো প্রযোজক ভাবে নায়ককে ফিউচারে অনেক ভাবে কাজে লাগাতে পারবে। তিন বছর তাকে দিয়ে যে সংখ্যক ফিল্ম দিতে পারবে, নায়িকাকে সেটা দিতে পারবে না। তাই খামখা নায়িকার প্রত্যাশা প্রযোজকরা বাড়িয়ে দিতে চায় না। আপনি দীপিকা পাড়ুকোনের কথাই ভাবুন। ‘রামলীলা’তে দীপিকা পর্দায় জ্বলে উঠেছিল। কিন্তু তার পর? ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’য়ে ওর কী রোল ছিল বলুন তো? কিন্তু রণবীর সিংহকে দেখুন। প্রযোজক রণবীরের ওপর বাজি লাগাতে পারবে কারণ সে জানে রণবীরকে ও এমন ছবি দিতে পারবে যেখানে ছবিটা জুড়েই ও। তবে নায়িকারা ফিল্মে নায়কদের থেকে কম পেলেও ফিতে কাটার অনুষ্ঠানে গিয়ে পুরোটা পুষিয়ে নেয়।
মানে?
আজ যদি একটা ফিতে কাটার অনুষ্ঠানে আমি ৩ লক্ষ নিই, তা হলে মাসে আমি ধরে নিচ্ছি তিনটে এ রকম কাজ করব। সে তুলনায় এক নায়িকা হয়তো ৬০০০০ পাবে একটা ফিতে কাটলে। কিন্তু মাসে হয়তো ১০-টা এমন অনুষ্ঠানে যাবে। তার মানে নায়িকাদের রোজগার বেশি হচ্ছে। নায়করা একটা কনসেপ্টে বিশ্বাসী। আমরা ভাবি দোকানে গিয়ে বিএমডব্লু কিনতে চাইলে তো হন্ডা সিটি গাড়ির দাম দিলে চলবে না। তাই বিএমডব্লু নিতে গেলে অত টাকাই দিতে হবে। আমরা এই ঘ্যাম নিয়ে চলি (হাসি)।
তাই নাকি?
আমরা বোকামি করি। কিন্তু ওরা বুদ্ধি দিয়ে চলে। এই নিয়ে আমাদের ঠাট্টাও হয়। আমি হয়তো বললাম একটা ফিতে কাটলে এত নিই। হিরোইন বলল অত নিই। তার পর হিসেব হয় মাসে ক’টা অফার পাই। দেখা যায় হরেদরে একই হচ্ছে।
আপনার এই ছবিতে তো তিন জন নায়িকা। গার্লফ্রেন্ড ঐন্দ্রিলা টিভি থেকে দেড় বছর ব্রেক নিয়েছেন। ওঁকে রেকমেন্ড করলেন না কেন?
সব ফাইনাল হয়ে গিয়েছিল। সেখানে কারও কাজ খেয়ে লাভ নেই। আজকাল ঐন্দ্রিলা এত বড় বড় রেমুনারেশনের অফার পাচ্ছে ন্যাশনাল টিভিতে যে ও এখন সিরিয়াসলি ওই অফারগুলো নিয়ে ভাবছে। আসলে সিরিয়াল করলে একজন হিরোইন তিন বছরের জন্য একদম সিকিওর্ড। সিরিয়াল চলতেই থাকবে। আর অভিনেত্রীরা মাসে মাসে মাইনে পেতে থাকে।
সেই অঙ্কটা কি ফিল্মে নায়িকাদের পারিশ্রমিকের থেকে বেশি?
একটা ছবি করে নায়িকা ভাল রোজগার করে। কিন্তু তার পর কবে আরও একটা অফার আসবে কেউ জানে না। একজন হিরোইনকে ক’টা ছবিতে প্রযোজক বারবার রিপিট করবে? কিন্তু সিরিয়ালে নায়িকারাই রানি। মাঝখানে সিরিয়াল বন্ধ করা যায় না। একটা সিনেমাতে একজন নায়িকা হয়তো ১০ লক্ষ পেল। কিন্তু সিরিয়ালে মাসপ্রতি একজন টপ অভিনেত্রী পাবে সাড়ে চার লক্ষ। তার মানে বছরে ৫০ লক্ষের বেশি। যদি সিরিয়াল একটুও হিট করে, তা হলে সেটা তিন বছর চলে। ব্লকবাস্টার হলে তো পাঁচ বছর চলবে। ফিল্মে হিরো শের। সিরিয়ালে হিরোইন শেরনি। হিরোইনের ডায়লগে হিরোরা রিঅ্যাকশন দেয় সিরিয়ালে।
মিমি চক্রবর্তী সিরিয়াল থেকে এসে ইতিমধ্যে দেবের বিপরীতে ছবি করে ফেললেন। ঐন্দ্রিলা এখনও অপেক্ষা করছেন কবে আপনার সঙ্গে ডেব্যু করবেন টলিউডে!
আমি চাই দেবের বিপরীতে ঐন্দ্রিলা কাস্ট হোক। দেবের জেনুইন ফ্যান ফলোয়িং আছে। গুরুকে দেখতে যাবেই তারা। দেবের ওই দর্শকের কাছে ঐন্দ্রিলা পৌঁছে যাক, সেটা আমি চেয়েছিলাম। আজও চাই।
দেবকে বলেছেন সেটা? না বললে প্রযোজকেরা কী করে জানবে যে আপনি পোসেসিভ বয়ফ্রেন্ড নন?
(হাসি) আমি পোসেসিভ বয়ফ্রেন্ড নই। তবে দেবকে বলিনি।
জিতের বিপরীতে ঐন্দ্রিলাকে দেখতে চান না?
ঐন্দ্রিলা এখন ১৯। জিতদা যে রকম নিজেকে রেখেছে, মানিয়ে যেতেও পারে। আই ডোন্ট নো (হাসি)।
জামাইষষ্ঠীতে এ বছর ‘জামাই ৪২০’-এর মুক্তি। তখন আইপিএল ফাইনাল রয়েছে। এতে ব্যবসার কোনও ক্ষতি হবে?
একটা শো হ্যাম্পার হতে পারে। কিন্তু তাতে বিশাল কিছু ক্ষতি হবে না। এই প্রথম জামাইষষ্ঠীতে আমার ছবি রিলিজ হচ্ছে।
এর পরের ছবিটা কী?
হিমাংশু ধানুকার প্রযোজনায় ছবি করছি। রিমেক ছবি। সেন্টিমেন্টের গল্প। অরিজিনাল ছবিটা এখানে কেউ টিভির পর্দায় দেখেনি।
আপনি নিশ্চিত যে আপনাকেই তাতে সোলো হিরো হিসেবে নেওয়া হবে? আপনার সাক্ষাৎকার পড়ে হিমাংশু ধানুকা নতুন ভাবে ভাবতেও পারেন। হয়তো ঠিক করলেন রিমেক না করে মৌলিক গল্প নিয়ে অনসম্বল কাস্টের ছবি করবেন যেখানে আপনার সঙ্গে থাকবে আরও দুই নায়ক...
দেখুন, এমন কথা হয়েছে যে পরের ছবিটা হিমাংশুর সঙ্গেই করব। আড়াই মাসের শিডিউল। তর পর আবার ‘জামাই ৪২০’-এর প্রযোজকের সঙ্গে একটা ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি করার কথা আছে। তবে আমার একটা সিদ্ধান্ত আছে যে আমি অনসম্বল কাস্টে ব্যাক-টু-ব্যাক ছবি করব না। পাঁচ-ছ’টা ছবির পরে করতে পারি। যদি একটা এ রকম ছবি করে ইন্ডাস্ট্রি আমাকে এ ছাড়া ভাবতে না পারে, তা হলে সেটা আমার ডিসক্রেডিট।
না, ডিসক্রেডিট নয়। হয়তো ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানোর এটাই উপায় কি না সেটা বোঝার জন্য আপনি পরীক্ষা দিচ্ছেন। খানিকটা ল্যাবরেটরির গিনিপিগের মতো!
ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে গেলে যদি আমাকে এটা করতে হয়, তা হলে আপত্তি কীসের?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy