Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অমুককে কেমন দিলামটা অভিনয় নয়

আশেপাশে তাঁকে ঘিরে যা-ই ঘটে চলুক, তিনি বদলাবেন না। মনে মনে আজও মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের ভারী ব্যাগ বয়ে ভিড়ের রাস্তাই তাঁর পছন্দ। ঋত্বিক চক্রবর্তী। মুখোমুখি ইন্দ্রনীল রায়।আশেপাশে তাঁকে ঘিরে যা-ই ঘটে চলুক, তিনি বদলাবেন না। মনে মনে আজও মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের ভারী ব্যাগ বয়ে ভিড়ের রাস্তাই তাঁর পছন্দ। ঋত্বিক চক্রবর্তী। মুখোমুখি ইন্দ্রনীল রায়।

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৫ ০০:০৭
Share: Save:

হলুদ সুতির টি-শার্ট আর জিন্স পরে পূর্ণদাস রোডের কফি শপে ঢুকলেন তিনি। চুল উস্কোখুস্কো, হাতে স্মার্টফোন। তাঁর ডেট পাওয়ার জন্য হন্যে গোটা টলিউড কিন্তু তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ‘‘আমি শুধু দার্জিলিং চা,’’ বলে শুরু হল আড্ডা।

ঋত্বিক, ইন্টারভিউ শুরু করার আগে একটা জিনিস বলছি যা ইন্টারভিউয়ের অংশ নয়। আমার দুই বন্ধু যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে এমএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে, তারা একটা স্ক্রিপ্ট লিখেছে। আপনাকে কাস্ট করতে চায়। আপনি শুনবেন ওদের স্ক্রিপ্ট?

(চায়ে চুমুক দিয়ে) হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনি আমার নম্বর দিয়ে দেবেন। আমি অবশ্যই ওদের স্ক্রিপ্ট শুনব।

তা হলে বলি, উপরের প্রশ্নটাও কিন্তু ইন্টারভিউয়ের অংশ।

মানে?

মানে ঋত্বিক চক্রবর্তী নিয়ে নাকি ইন্ডাস্ট্রির এটাই সমস্যা। যেখানে বড় পরিচালকেরা তাঁর পিছনে, সেখানে তিনি আজও আনকোরা পরিচালকের স্ক্রিপ্ট শুনতে বেশি আগ্রহী...

(হাসি) বেশি আগ্রহী কি না জানি না। কিন্তু এটা ঠিক যারা প্রথম ছবি করতে চাইছে তারা আমার কথাই ভাবছে। আমার কাছে এটাও বিরাট সম্মানের। তারা যদি আমাকে সেই সম্মানটা দেয়, আমারও উচিত তাদেরকে সেই সম্মানটা ফিরিয়ে দেওয়া।

সপ্তাহে এ রকম ক’টা নতুন পরিচালকের স্ক্রিপ্ট পান?

পাই বেশ ক’টা। তবে সব ক’টা পুরো পড়ি না। কয়েকটা স্ক্রিপ্ট একটু পড়েই বুঝে যাই করব না। সেগুলো মাঝপথেই ছেড়ে দিই।

আজকে তো ঋত্বিক বড় স্টার। স্টারেরা নতুন পরিচালকদের কাছে এত সহজে অ্যাভেলেবল হন নাকি?

কিন্তু আমি তো স্টার নই।

ঋত্বিক প্লিজ...

না, আমি স্টার নই। আমি অভিনেতা। মন থেকে এটাই বিশ্বাস করে এসেছি। স্টার হতে গেলে অন্য মেটিরিয়াল লাগে। আমি জানি সেটা আমার মধ্যে নেই। স্টারদের সম্মান করি। কিন্তু আমি স্টার হতে পারব না কোনও দিন।

স্টারদের ছবি তো দেখেন?

অবশ্যই দেখি।

শুক্রবার একটি শাহরুখ খানের ছবি রিলিজ হল, আর একটা ইরফান খানের— আপনি কোনটায় যাবেন?

আমি ইরফানের ছবি দেখতে যাব। এটা বলা মানে ভাববেন না আমি শাহরুখকে অপছন্দ করি। একেবারেই নয়, কিন্তু ইদানীং শাহরুখ আমাকে দর্শক হিসেবে খুব ডিসাপয়েন্ট করেছে। একঘেয়ে লাগছে ওকে। তাই জন্যই ইরফানের ছবি দেখতে যাওয়া।

আপনাকে তো টালিগ়ঞ্জের ইরফান খান বলা হয়।

ভাগ্যিস ইরফান সেটা জানে না। জানলে খুব দুঃখ পেত। তবে শুধু ইরফান নয়, আমার ফেভারিট অভিনেতাদের মধ্যে নওয়াজ রয়েছে, নাসিরুদ্দিন শাহ আছেন, স্মিতা পাটিল রয়েছেন। শুধু ওরা কেন? রবি ঘোষ, তুলসী চক্রবর্তী, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমার প্রিয় অভিনেতা। আমার কেন এঁদের এত ভাল লাগে জানেন?

কেন?

এঁরা কেউ হাততালি বা সিটি পাওয়ার জন্য অভিনয়টা করেননি কখনও। এঁরা অভিনয় করেছেন অভিনয় থেকে মজা পাওয়ার জন্য। এটাই আমার কাছে আসল অভিনয়।

কিন্তু আজকে যে ঋত্বিকের অভিনয় নিয়ে চারিদিকে হুলুস্থুল, ২০১২-র ‘শব্দ’‌য়ের আগে তো তাঁকে সে ভাবে পাত্তাই দেয়নি টলিউড...

হ্যাঁ, সেই রকম ভাবে আমি লোকের নজরে পড়িনি। তাই জন্যই ‘শব্দ’‌য়ের ‘তারক’‌য়ের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। কৌশিকদা তো আছেনই, আমি বেশি কৃতজ্ঞ চূর্ণীদির কাছে। চূর্ণীদি আমার কথা প্রথম ভাবতে বলেছিলেন কৌশিকদাকে। আমি আজ অবধি যত ছবি করেছি সব ক’টা বিচার করে বলছি, ‘শব্দ’ আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর মেমরেবল ছবি।

ঋত্বিক মানেই অসম্ভব ক্যাজুয়াল একজন অভিনেতা। আপনি কি সত্যিই এতটা ক্যাজুয়াল? নাকি এটা ম্যানুফ্যাকচার্ড?

একেবারেই ম্যানুফ্যাকচার্ড নয়। আমি এতটাই ক্যাজুয়াল। রিয়েল লাইফে ক্যাজুয়াল আর স্টুডিয়োতে ঢুকেই ট্যানট্রাম দেখাব, এটা আমি পারব না। সিম্পল ক্যাজুয়াল থাকতে চাই। ব্যস।

মানে ঋত্বিককে বাজারেও দেখা যেতে পারে সকালবেলা?

সকালে বাজার করি না। করি বিকেলবেলা। এ সব না করলে তো জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে।

লোকে মজা করে বলে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের অশোকস্তম্ভটা আপনি। ঋত্বিক মানেই জাতীয় পুরস্কার।

(প্রচণ্ড হাসি) গত তিন বছরে এটা হয়েছে ঠিকই। প্রথমে ‘শব্দ’। তারপর ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’। এ বারে ‘আসা যাওয়ার মাঝে’। দারুণ ফিলিং।

ছবি জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে কিন্তু বেস্ট অ্যাক্টর তো হওয়া হচ্ছে না।

(হাসি) ‘শব্দ’তেই নাকি আমার চান্স ছিল এমনটাই শুনেছিলাম। কিন্তু সে বছর ‘পান সিংহ তোমর’‌য়ের জন্য বেস্ট অ্যাক্টর পায় ইরফান। নো রিগ্রেটস। তবে বেস্ট অ্যাক্টর না পেলেও কিছু মানুষ তো আমাকে বলছেন আমার অভিনয় তাঁদের ভাল লাগছে। সেটাই বা কম কীসের...

‘আসা যাওয়ার মাঝে’‌তেও তো আপনার অভিনয়ের প্রশংসা হচ্ছে।

খুব ভাল লাগছে শুনে।

এই যে আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত আপনাকে অ্যাপ্রোচ করলেন, তা আপনি একটা ছবি করতে যত টাকা পান সেটা তো আদিত্যর দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। এই সব সময় কি আর্থিক দিকটার কথা না ভেবে শুধু রোলটার কথাই ভাবেন?

হ্যাঁ, ভাবি। আদিত্য যদি বেশি টাকা দিতে পারত তা হলে তো ভালই লাগত। কিন্তু শুধু টাকার জন্য ভাল রোল আমি ছেড়ে দিতে পারব না।

মানে, টাকাটা ইম্পর্ট্যান্ট নয় অতটা?

অবশ্যই ইম্পর্ট্যান্ট। কিন্তু সবটা নয়।

কিন্তু চেকে টাকার অ্যামাউন্ট কম থাকলে বাড়িতে বউ অপরাজিতা তো বলতেই পারেন, ‘‘এ রকম চললে এসিটা তো লাগানোই হবে না ড্রয়িং রুমে।’’

হা হা হা হা। বউ আমাকে চেনে। ও জানে আমি কোনটা চাই। আর বউয়েরও তো চেক আসে, তাই খুব একটা অসুবিধা হয় না।

আবার একটু আপনার অভিনয়ের প্রসঙ্গে আসি। রমেশ সিপ্পির রামগড়ে যেমন গব্বরকে সবাই ভয় পেত, যাদবপুরের রামগড়ের বাসিন্দা, ঋত্বিকের সঙ্গে অভিনয় করতেও তো প্রায় সব অভিনেতাই ভয় পান...

(কথা থামিয়ে দিয়ে) কেউ ভয় পায় না। (হাসি) আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি কেউ ভয় পায় না। তারা দারুণ অভিনেতা। আর ওই যে বললাম, অভিনয়টা কবাডি খেলা নয়। অভিনয়টা অমুককে ‘কেমন দিলাম’ বলা নয়। আপনি আমার সহ-অভিনেতাকে ছোট করলে ছবিটারই বারোটা বাজাবেন। এটা বটমলাইন।

বুঝলাম। তা হলে একটু অন্যভাবে জিজ্ঞেস করছি, কোন কোন অভিনেতা আছেন যাঁদের ঋত্বিক সমীহ করেন?

(ভেবে) অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় আর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। আমি যে অভিনয়টায় বিশ্বাস করি ওঁদের অভিনয়ে আমি সেটা পাই।

পুরনো বাংলা ছবির এমন কোনও চরিত্র আছে যেটা করলে অভিনেতা ঋত্বিক বর্তে যাবেন?

(ভেবে) হ্যাঁ, আছে। ‘গল্প হলেও সত্যি’র রবি ঘোষের মতো অভিনয় করতে পারলে বর্তে যেতাম। ‘অযান্ত্রিক’‌য়ের কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনয় করতে পারলে বর্তে যেতাম। আর একটা আছে। সেটা বলতে পারব না।

এটা কোনও কথা হল! বলুন না...

ওই চরিত্রটা আমি করতে চাই না। ওটা রেফারেন্স বইয়ের মতো মাঝে মাঝে রেফার করতে চাই। ‘নায়ক’‌য়ের উত্তমকুমারের চরিত্রটা। (হাসি)

বোঝাই যাচ্ছে এ সব অভিনয় গুলে খেয়েছেন। তাই জন্যই ‘অনুব্রত ভাল আছো’র জন্য মাদ্রিদে বেস্ট অ্যাক্টর হন...

(হাসি) বিশেষ ভাবি না...

এটা তো ভাবতে পারেন, থাকছি রামগড়ে... মাতাচ্ছি মাদ্রিদ?

শুনে ভাল লাগে যখন লোকে কনগ্রাচুলেট করে। তবে যে দিন অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা হয়, সে দিন সন্ধেবেলা বাড়িতে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পার্টি করি। তারপর রাত হয়ে সকাল হয়। ধীরে ধীরে অ্যাওয়ার্ডও ফিকে হয়ে যায়।

এটুকু বুঝেছি, আপনি যত দিন আপনার অ্যাওয়ার্ডকে মনে রাখেন আপনার অ্যাওয়ার্ড তত দিন আপনাকে মনে রাখে না। তাই ওই এক দিনের আনন্দ। পরের দিন নতুন করে শুরু।

এ বার তো অরিন্দম শীল-এর ‘ঋজুদা’তেও আপনি...

হ্যাঁ। অরিন্দমদা যখন প্রথম আমাকে বলল ‘ঋজুদা’র কথা, আমি প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। এটা আমার অসম্ভব প্রিয় একটা চরিত্র। এবং সবচেয়ে ভাল ব্যাপারটা হল, ‘ঋজুদা’র কোনও সিনেমাটিক রেফারেন্স নেই। আজও ঋজুদা শুধু বইয়ের পাতাতেই রয়েছে। সেটাকে এ বার গড়ে তোলাটা আমার কাজ। এটাও ভাল যে শ্যুটিংটা আর কয়েক দিন পরে শুরু হবে। আমিও ভাবনা-চিন্তা করার সময় পাব।

এক দিকে ঋজুদা। অন্য দিকে ব্যোমকেশের অজিত। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকে জীবনটা এত পাল্টে যাবে কোনও দিন ভেবেছিলেন?

না, কোনও দিন ভাবিনি জীবনটা এতটা বদলে যাবে।

কেমন ছিল তখন জীবনটা?

ব্যারাকপুরে থাকতাম। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছিল আমার এরিয়া। মাসে তিনবার গঙ্গাসাগর যেতাম। বারুইপুর থেকে গঙ্গাসাগর ছিল আমার কর্মক্ষেত্র।

রোজ সকালে ব্যাগ নিয়ে ওষুধ বিক্রি করতে বেরোতেন?

একেবারেই তাই।

মাইনে ?

দশ হাজার টাকা। তার উপর টিএ-ডিএ এক্সট্রা। (উদাসীন একটা হাসি)

মানে আজও ছেলের জন্য ওষুধ কিনলে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা যেমন কোম্পানির নামটা পড়েন, আপনিও তাই করেন?

(হেসে) পুরনো অভ্যেস কখনও যায়? ওষুধ কিনলেই পাতা কী বোতল উল্টিয়ে কোম্পানির নামটা দেখে নিই। সেই কোম্পানির যে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল আমার সময় তার মুখটাও ভেসে ওঠে। (হাসি)

ঋত্বিক মানেই তো ভীষণ গা-ছাড়া একটা অভিনয়। একটু জড়িয়ে জড়িয়ে কথা বলা। এই জিনিসটা তো সৃজিত থেকে অরিন্দম সবাই দেখিয়ে দিয়েছেন। ঋত্বিকের আস্তিনে আর কী নতুন তাস আছে যা তিনি এখনও বার করেননি?

দেখুন, পৃথিবীর সব অভিনেতাই এই একঘেয়েমির ট্র্যাপে পড়েন। আমাদের দেশে তো অবশ্যই পড়েন। আমি চেষ্টা করেছি অভিনয়ে আরও নানা রকম ভ্যারিয়েশন আনতে। খুব কনশাসলি যে করছি তা নয়। অভিনেতা হিসেবে অবশ্যই নিজেকে আরও স্ট্রেচ করার চেষ্টা করছি। ওটাই তো আমার কাজ।

আর নির্লিপ্ত ভাবটা? সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলছিলেন সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ঋত্বিক যে ভাবে কথা বলেন ক্যান্টিনের হারুর সঙ্গেও একই ভাবে কথা বলেন!

কী বদমাইশ সৃজিতটা!

ঠিকই তো বলেছেন। এতটাই নির্লিপ্ত আপনি যে, ‘নির্বাক’‌য়ে সুস্মিতাকে পেলেন ঠিকই কিন্তু তিনি তখন মৃত।

হা হা হা হা। এটার জন্য সৃজিত দায়ী।

কিন্তু আজকাল এ রকম খ্যাপাটে রোল মানেই ঋত্বিক চক্রবর্তী।

হ্যাঁ, এটা একটা নতুন ট্রেন্ড হয়েছে। আমাকে দেখলেই লোকে পাগলাটে, সাইকো চরিত্রে ভাবছে।

মানে, আজকে আমাকে কেউ মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের রোল দিলেও দেখবেন সে এমন একটি চরিত্র, যে ব্যাগের ভিতর কাটা কুমির রাখে। কী আর বলব! তবে আমি এ সব নিয়ে ভাবতে চাই না। কাজ করে বাড়ি চলে যাব— এটাই আমার ফিলজফি।

আপনার মধ্যে একটা ‘সুখী গৃহকোণ, শোভে গ্রামাফোন’ আছে কিন্তু…

একদমই তাই। আমি ভীষণ ঘরকুনো। বাড়িতে গিয়ে বউ আর ছেলের সঙ্গে সময় কাটানো আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

সে তো ভাল ব্যাপার। আচ্ছা, ঋত্বিক যদি জীবনে একটা কিছু বদলাতে চায় তা হলে সে কী হবে?

আমি আর একটু কম অলস হলে ভাল হত। অনেক সময় আমি আলস্যে এমন মজে থাকি যে আমার কাজের ক্ষতি হয়।

আপনার মাথার চুলটা তো একটু হলেও পাতলা হয়ে গিয়েছে। সেটা নিয়ে চিন্তিত নন?

না। এখনও তো সেটা আমার কেরিয়ারে অ্যাফেক্ট করেনি। যে দিন করবে সে দিন নিশ্চয়ই ওটা নিয়ে ভাবব।

আনন্দplus-এ এক প্রচ্ছদকাহিনি ছিল ‘ফ্যাব ফাইভ’ — আপনি, পরম, আবীর, শাশ্বত আর যিশু। এই লিস্টের একটা র‌্যাঙ্ক করে দিন না?

আবার র‌্যাঙ্ক কেন?

র‌্যাঙ্ক ভাল তো। এই পাঁচজনের মধ্যে সেরা অভিনেতা কে?

সেটা আমি কী করে বলব।

বলুন না...

পাঁচজনের মধ্যে সেরা অভিনেতা অপুদা (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়)

আর সবচেয়ে বড় স্টার?

স্টার... স্টার... স্টার... আবীর চট্টোপাধ্যায়। ও-ই সবচেয়ে বড় স্টার।

শেষ প্রশ্ন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তো আজও কোনও মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ আছে যে অভিনেতা হতে চায়। সেই মানুষটি আজকে ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োর বাইরে শুধু অপেক্ষা করে কিন্তু কাজ পায় না। তাকে প্রাক্তন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ কী উপদেশ দেবে?

তাকে দু’টো কথা বলব। ধৈর্যটা বাড়াও। আর নিজেকে কোনও দিন ওভার এস্টিমেট কোরো না। তোমার আগেও ইন্ডাস্ট্রি বহাল তবিয়তে চলেছে। তুমি চলে গেলেও কারও কিছু এসে যাবে না। কাজটা করো মন দিয়ে। আর পরিবারকে সময় দাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE