জয়া শীল ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।
মঞ্চ হোক কিংবা সিনেমা, অভিনয়ের ক্ষেত্রে বেছে কাজ করতে পছন্দ করেন জয়া শীল ঘোষ। কিন্তু অভিনেত্রী ফের নাটকের মঞ্চেই অভিনয় করতে চলেছেন। নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ কারণ।
দক্ষিণ কলকাতায় আধুনিকতার ছোঁয়া। সময়ের সঙ্গে সেই ছাপ উত্তর কলকাতার গায়েও লেগেছে। ক্রমশ পুরনো বাড়ির সংখ্যা কমছে। ‘হেরিটেজ’ তকমা সাঁটা বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণও প্রশ্নের মুখে। পুরনো কলকাতার স্বার্থেই বিশেষ নাটকের শো-এর আয়োজন করেছে ‘পদাতিক থিয়েটার’। প্রথাগত মঞ্চ নয়, নাটক হবে উত্তর কলকাতার একটি পুরনো বাড়িতে। নাটকের থেকে আয়ের একটা অংশ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে ওই বাড়ির মেরামতির জন্য দান করা হবে।
নাটকের রিহার্সালের মাঝে জয়া। ছবি: সংগৃহীত।
জয়া বললেন, ‘‘এ রকম একটা উদ্যোগে শামিল না হয়ে পারলাম না। প্রথমে আমাকে নিয়ে একটা স্বতন্ত্র নাটকের পরিকল্পনা করে ওঁরা। তার মাঝেই এই বিষয়ভাবনাটা নিয়ে এগোই।’’ পারফরম্যান্সের জন্য সাতটি নাটকের নির্বাচিত অংশের হিন্দি রূপান্তর করে একটি এক ঘণ্টার নাটক তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অংশটি রবীন্দ্রনাথের ‘স্ত্রীর পত্র’ অবলম্বনে তৈরি। জয়ার কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন আগে সীমা বিশ্বাসকে এক বার মঞ্চে ‘স্ত্রীর পত্র’-এ অভিনয় করতে দেখে মুগ্ধ হই। আসলে মৃণাল চরিত্রটার আবেদন চিরকালীন। তাই ইচ্ছেটা এ বারে আরও বেড়ে গিয়েছিল।’’
নাটকগুলির নির্দেশক অনুভা ফতেপুরিয়া। নাম রাখা হয়েছে ‘হেরিটেজ মিটস থিয়েটার’। উত্তর কলকাতার বারাণসী ঘোষ স্ট্রিটের ‘টন্ডন হাউস’-এ হবে নাটকের অভিনয়। খোলা আকাশের নীচে শ্রুতিনাটকের ঢঙে চিত্রনাট্য পড়তে পড়তে অভিনয় করবেন কলাকুশলীরা। সামনে রোয়াকে থাকবে দর্শকদের বসার ব্যবস্থা। জয়া বললেন, ‘‘এ রকম ভাবে কখনও নাটক করিনি। তাই আমি খুবই উত্তেজিত। রিহার্সালেই সেটা টের পেয়েছি। শুধু চাই যেন সে দিন বৃষ্টি না হয়।’’
প্রায় ১২ বছর পর আবার নাটকে প্রত্যাবর্তন জয়ার। এর আগে উষা গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় ‘চণ্ডালিকা’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘‘এত বছর পর আবার নাটক করব বলে একটু হলেও ভয় লাগছে। তা ছাড়া এই নাটকের গঠনও আলাদা। বলা যায় নতুন করে শিখছি। বাকিটা তো দর্শক বলবেন।’’ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নাটকটির প্রথম অভিনয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy