Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
Entertainment News

‘হেতাল’-এর খোঁজ পেলেন অরিন্দম

২০০৪। ভবানীপুরের স্কুল ছাত্রী হেতাল পারেখের মৃত্যু। তাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বাঁকুড়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি। না! নিছকই খবরের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া মামুলি ঘটনা নয়। সে সময় গোটা দেশে আলোড়ন তুলেছিল এই হেডলাইন। এ বার সেই ঘটনাকেই ফ্রেমবন্দি করছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। ছবির নাম ‘ধনঞ্জয়’।

স্বরলিপি ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ১৪:৩৫
Share: Save:

২০০৪। ভবানীপুরের স্কুল ছাত্রী হেতাল পারেখের মৃত্যু। তাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বাঁকুড়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি। না! নিছকই খবরের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া মামুলি ঘটনা নয়। সে সময় গোটা দেশে আলোড়ন তুলেছিল এই হেডলাইন। এ বার সেই ঘটনাকেই ফ্রেমবন্দি করছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। ছবির নাম ‘ধনঞ্জয়’।

আরও পড়ুন, অরিন্দমের ছবি থেকে হঠাত্ই সরে দাঁড়াল বাংলাদেশের প্রযোজনা সংস্থা

এই ছবিতে হেতালের চরিত্রে অভিনয় করবেন আনুশা বিশ্বনাথন। অনেক ভাবনাচিন্তার পর আনুশার নতুন মুখেই অনস্ক্রিন হেতালকে ভাবতে পেরেছেন অরিন্দম। এত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আনুশা কেন? অরিন্দম বললেন, ‘‘খুব ইন্টারেস্টিংলি আমার অন্য একটা ছবি ‘দুর্গা সহায়’-তে আমি আনুশাকে ব্যবহার করেছি। তখনই দেখলাম অভিনয়টা ওর স্বাভাবিক ভাবেই আসে। ও সাবলীল এবং মন দিয়ে কাজটা করে। ওর লুকের মধ্যেও একটা অন্য রকম ব্যাপার আছে। এই ছবির লুক টেস্টের পর আমি আরও নিশ্চিত হয়ে গেলাম ওকেই হেতালের চরিত্রে মানাবে।’’

আরও পড়ুন, কালিকাদা আর আমার মধ্যে রয়ে গেল ‘বিসর্জন’

আনুশার একটা অন্য পরিচয়ও আছে। তিনি পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন ও মধুমন্তী মৈত্রর মেয়ে। নাটকের ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই হেতালের চরিত্রের জন্য হোমওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছেন আনুশা। হেতালের মায়ের চরিত্রে রয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘খুব ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট। যে গল্পটা আমরা জানি না তেমন একটা গল্প জানতে পারব এই ছবিতে।’’ এ ছাড়া ধনঞ্জয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন, ‘নেটওয়ার্ক’-এ প্রতিশোধ নেবেন শাশ্বত?

হেতাল পারেখের মৃত্যু যেমন দুঃখের, ধনঞ্জয়ের ফাঁসিও কিন্তু অনেক প্রশ্ন তোলে। ঠিক কী হয়েছিল, সেটা কিন্তু কেউ জানে না। আর সেটাই রয়েছে পরিচালকের ভাবনায়। যা এ ছবির ইউএসপি।

সে সময় মূলত পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের উপরে ভিত্তি করেই ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছিল। ফলে সেই ফাঁসি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে এখনও। তখন সুপ্রিম কোর্ট ও রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি।

ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE