এই লড়াই গত কয়েক দশকের। একটি নামী প্রসাধনী প্রডাক্টের নাম বদল করে দিলেই আগামী দিনের ছবিটা যে পুরো বদলে যাবে, সেটা ভাবাও ঠিক নয়। তবু ‘ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার’-এর ঝড়ে একটি বড়সড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে দেশ।
ফর্সা হওয়ার জনপ্রিয় ক্রিমের নামে ‘ফেয়ার’ শব্দটি বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার সংস্থা। এ দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের গায়ের রং ফর্সা নয়। তবু ঔপনিবেশিক মানসিকতা এবং জাতিগত বৈষম্যের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে সৌন্দর্যের মাপকাঠি ফর্সা হওয়া। গায়ের রঙের জন্য শ্যামবর্ণা মেয়েদের যে ভাবে নানাবিধ লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়, তা ২০২০তেও সিরিয়াল-সিনেমা বানানোর উপজীব্য হয়ে ওঠে।
গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিও এই বর্ণ বৈষম্যের ঊর্ধ্বে নয়। বিশেষত, যখন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রীরা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করেন, তখন প্রতিবাদের ভাষা তার শান হারায়। নাম বদলের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরে শ্যামবর্ণা অভিনেত্রীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।