ছবির দৃশ্য।
কড়া নাড়ার শব্দ শুনে দরজা খুলেছিলেন তরুণ চিত্র পরিচালক। সামনে দাঁড়ানো বছর নয়েকের ছেলেটি সোজা তাকিয়ে বলেছিল, শুনেছি এখানে ডিরেক্টর থাকে। ডাকো, আমি সিনেমায় অভিনয় করতে চাই। সে দিন স্ক্রিন টেস্টে ছেলেটি পাশ করতে পারেনি, কিন্তু অভিব্যক্তি দেখে পরিচালক বুঝেছিলেন, এই তাঁর গল্পের পলাশ। শুধু পলাশকে পেলে হবে না, গল্পের আর এক চরিত্র সফিকুলকেও দরকার। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরে সফিকুল মিলল বটে। গল্পের মতোই গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে সে পলাশের সহপাঠী। তার পর বাকিটা সিনেমা, ‘দোস্তজি’।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সীমান্তবর্তী গ্রামের পটভূমিতে লেখা নিজের গল্প সিনেমায় ধরেছেন তরুণ চিত্র পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। সেই সিনেমাই এ বার হংকং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ার্কিং ফিল্ম প্রোগ্রেস গ্রুপে সেরা দশ ফিচার ফিল্মে জায়গা করে নিয়েছে। ‘দোস্তজি’ শুধু ভারত থেকে ওই বিভাগে একমাত্র জায়গা পেয়েছে। মুর্শিদাবাদের জনজীবন ও দুই শিশুর গল্প নিয়ে তৈরি তাঁর সিনেমা এ বছরে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘গোজ় টু কানস-ওয়ার্কিং ফিল্ম প্রোগ্রেস’ বিভাগেও নির্বাচিত হয়েছে। তাতেই মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে কাঠুরিয়া গ্রামের দুই শিশু, আশিক শেখ ও আরিফ শেখ।
দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা প্রসূনের ডোমকলে যাতায়াত দীর্ঘদিনের। পরিচালক বলছেন, “সীমান্তবর্তী গ্রামের পটভূমি ধরতে চেয়েছিলাম। স্থানীয় আনকোরা মানুষজনকে নিয়েই কাজ করেছি। শহরের বিভিন্ন প্রযোজকের দরজায় ঘুরেছি কিন্তু সাড়া পাইনি। ২০১৭ সালে ক্রাউড ফান্ডিং করে কিছু টাকা জোগাড় করি। কিন্তু তাতে পুরো সিনেমার খরচ ওঠেনি।” গত নভেম্বরে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন আন্তর্জাতিক বাজারে এই প্রকল্পটি তুলে ধরলে, তাইওয়ানের প্রযোজক আইভি ইউ-হুয়া শেন এই প্রকল্পে যুক্ত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy