Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩

মেনস্ট্রিম সিনেমার সঙ্গীতে নিজেকে দেখতে পারিনি

তাঁর সঙ্গীতের মতো তিনিও স্বকীয়, আত্মবিশ্বাসী। অলকানন্দা দাশগুপ্তর মুখোমুখি আনন্দ প্লাস।মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে একটা ভাগ রয়েছে, বলিউড এবং‌ নন-বলিউড। সেই জায়গা থেকে আসলে কোনও দিন নিজেকে মেনস্ট্রিম সিনেমার সঙ্গীতে দেখতে পারিনি। আবার এটাও ঠিক যে, এই ছবির কাজগুলো করেছি, আমার কাছে সেগুলো এসেছে বলেই। তবে নিজে ওই কমার্শিয়াল বা আর্ট হাউসের ভাগাভাগিতে বিশ্বাস করি না।

অলকানন্দা দাশগুপ্ত।

অলকানন্দা দাশগুপ্ত।

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

প্র: ‘বিএ পাস’, ‘ফ্যান্ড্রি’, ‘ট্র্যাপড’-এর মতো অন্য ধারার ছবিতেই সঙ্গীত করেছেন। বিশেষ কারণ?

Advertisement

উ: মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে একটা ভাগ রয়েছে, বলিউড এবং‌ নন-বলিউড। সেই জায়গা থেকে আসলে কোনও দিন নিজেকে মেনস্ট্রিম সিনেমার সঙ্গীতে দেখতে পারিনি। আবার এটাও ঠিক যে, এই ছবির কাজগুলো করেছি, আমার কাছে সেগুলো এসেছে বলেই। তবে নিজে ওই কমার্শিয়াল বা আর্ট হাউসের ভাগাভাগিতে বিশ্বাস করি না।

প্র: পরিচালক বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। আলাপ কী ভাবে হয়?

উ: টরন্টো (ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে ফিরে আসার পরে আমি বেশ কিছু অ্যাড ফিল্মের কাজ করি ওঁর সঙ্গে। ওই ভাবেই আলাপ। তার পর উনি আমাকে ‘ট্র্যাপড’-এর জন্য ডাকেন। আর তার পর ‘সেক্রেড গেমস’-এর কাজটা আসে।

Advertisement

প্র: ‘সেক্রেড গেমস’-এর ‘ধুয়াঁ ধুয়াঁ’ খুব জনপ্রিয় হয়েছে। ওই গানটার অনুপ্রেরণা কী?

উ: ওই দৃশ্যটায় রোম্যান্টিক গান থাকার কথা ছিল না। কারণ ওখানে প্রচুর গুলি চলে, মার্ডার হয়... কিন্তু আমার কেন জানি না মনে হল, এ রকমটা করে দেখি। কারণ সিরিজ়টা যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানবেন ওই দৃশ্যে একটা ব্রিফ রোম্যান্সও রয়েছে। গানটা লিখেছে আমার দিদি রাজেশ্বরী দাশগুপ্ত। আমার বেশির ভাগ গানই ওর লেখা। ‘ধুয়াঁ ধুয়াঁ’ সুর করার পর যখন ভিস্যুয়ালের সঙ্গে প্রেজ়েন্ট করা হয়, বিক্রমাদিত্যর সেটা পছন্দ হয়েছিল।

প্র: আপনার বাবা বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। সেই পরিচয়টা থেকে বেরিয়ে নিজের জায়গা বানানো সহজ ছিল?

উ: বাবার পরিচয়টা আমার কাছে গর্বের। মুম্বইয়েও বাবাকে সকলে খুব সম্মান করেন। কিন্তু কাজ না জানলে শুধু পরিবারের পরিচয়টা কখনওই আমাকে সাহায্য করত না। কারণ এখানে লোকের হাতে সময়টাই নেই ভেবে দেখার যে, তুমি কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছ। বরং কত তাড়াতাড়ি সেরা কাজটা ডেলিভার করতে পারছ, সেটাই বিচার্য।

প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলা সঙ্গীত পরিচালক এত কম কেন?

উ: কিছু প্র্যাক্টিক্যাল বিষয় আছে, যেগুলো সব ফিল্ডেই থাকে। যেমন মহিলাদের নির্দেশ অনেক পুরুষই মেনে নিতে পারেন না। আমি নিজে যেহেতু কখনও আলাদা করে এই ধারণাটা নিয়ে বড় হইনি যে, মহিলা বলেই কিছু কিছু জিনিস করব না, সেহেতু এই জিনিসটা আমাকে কখনও ভাবায়নি। কিন্তু পুরুষশাসিত সমাজের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা আছেই। তবে মহিলা সঙ্গীত পরিচালকরাও ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিচ্ছেন। ফলে চিত্রটা পাল্টাবে।

প্র: বাংলায় কাজ করেন না কেন?

উ: করতে চাই না, তা নয়। আমি মুম্বইয়ে থাকি বলে হয়তো সে ভাবে কাজগুলো করা হয়ে ওঠে না। তবে ‘আনওয়ার কা আজব কিসসা’র পর বাবার সঙ্গে ‘উড়োজাহাজ’-এ কাজ শেষ করলাম।

অন্তরা মজুমদার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.