ইমরান
প্র: বাল ঠাকরের বায়োপিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবেন না বলেই কি রিলিজ়ের দিন এগিয়ে আনলেন?
উ: তা নয়। বন্ধুত্বের কারণেই রিলিজ়ের দিন বদলে নেওয়া হল। ‘ঠাকরে’র প্রযোজক বেশ উদার। ছবির মরাঠি ভার্সনও ২৩ জানুয়ারির বদলে ২৫ জানুয়ারি আসবে। তাতে আমরা হাতে একটা সপ্তাহ পেয়ে যাব।
প্র: আপনার ঠিক এক সপ্তাহ পরেই কঙ্গনা রানাউতের ছবি। আপনারা দু’জনে একসঙ্গে কাজ করেছেন আগে। ওঁর সাফল্যকে কী ভাবে দেখেন আপনি?
উ: ‘গ্যাংস্টার’ আর এখনকার কঙ্গনার মধ্যে অনেক ফারাক। অভিনেত্রী হিসেবে ও নিজেকে প্রমাণ করেছে। এত বড় ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের আলাদা জায়গা বানিয়েছে। এটা প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ছবিতে কঙ্গনাকে আমরা নতুন ভাবে দেখি।
প্র: বলা হচ্ছে, ‘হোয়াই চিট ইন্ডিয়া’ সত্যি ঘটনার উপরে ভিত্তি করে বানানো...
উ: আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উপরে এই ছবি। বর্তমানে শিক্ষার অব্যবস্থা, ছাত্ররা কেন এত চাপের মধ্যে থাকে, ভাল শিক্ষকের অভাব— সব কিছুই ছবিতে দেখানো হবে। এ ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যেও যে মাফিয়া যোগ রয়েছে, সেগুলোও তুলে ধরা হবে।
প্র: এখন মা-বাবা সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেন। আপনার কী মত?
উ: আমিও আমার ছেলেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশেই পাঠাব। আমাদের দেশে যে পাঠ্যক্রম মানা হয়, তা সময়ের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। এক জন ছাত্র মোটামুটি ভাবে ক্লাস সেভেনে বুঝে যায়, সে কোন বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে পড়বে। কিন্তু আমাদের এখানে কোনও রকম ভোকেশনাল ট্রেনিং দেওয়াই হয় না। মুখস্থ বিদ্যার উপরে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা দাঁড়িয়ে। স্কুল শেষ করার পরে আমি নিজেই খুব বিভ্রান্ত ছিলাম! আমার নেওয়া উচিত ছিল আর্টস। কিন্তু নিলাম সায়েন্স। এখানে বিজ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমার ছেলেকে আন্তর্জাতিক বোর্ডে পড়াচ্ছি, যেখানে সব কিছুই যতটা প্রয়োজন ততটা শেখানো হয়।
প্র: আপনি যে এত স্পষ্টবক্তা, তার জন্য সমস্যায় পড়তে হয় না?
উ: হয়তো এর জন্য অজান্তে আমি অনেককে আঘাত দিয়ে ফেলি। ডিপ্লোম্যাটিক তো একদমই নই! এই স্বভাবের জন্য আমাকে অনেক সময়ে সমস্যাতেও পড়তে হয়েছে।
প্র: এক সময়ে আপনাকে ‘সিরিয়াল কিসার’ বলা হতো। সেই ইমেজ থেকে বেরিয়ে এসে কি স্বস্তি পেয়েছেন?
উ: দশ বছর আগে যদি আপনি আমার সাক্ষাৎকার নিতেন, তা হলে হয়তো প্রথম আর শেষ প্রশ্ন এই নিয়েই হতো। তবে ওই ইমেজ নিয়ে আমার আফসোস নেই। কারণ, সেটা আমার নিজেরই তৈরি করা।
প্র: ব্যক্তিগত জীবনে চিট করেছেন?
উ: স্কুলে পড়তে করেছি বইকি! পেপার লিক হয়ে গিয়েছিল এক বার। স্কুলে এ সব হতেই থাকত। তবে ব্যক্তিগত জীবনে কখনও করিনি। সম্পর্কে যদি প্রতারণা করতেই হয়, তা হলে বিয়ে করা উচিত নয়। ভালবাসলে পার্টনারের প্রতি আপনাকে বিশ্বাসী এবং অনুগত থাকতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy