জিত্-এর সঙ্গে প্রথম ছবি। কেমন লাগল?
খুব ভাল এক্সপিরিয়েন্স। প্রথম যে দিন দেখা হল, এত সুন্দর করে ওয়েলকাম করেছিল যে আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম (লাজুক হাসি)।
জিত্ তো আপনাকে একটা বিশেষ নামেও ডাকেন?
(প্রাণখোলা হাসি) হ্যাঁ। জিত্দা আমাকে ফরেনার হিরোইন বলে ডাকে। আর কখনও কখনও খুব কায়দা করে ফারিয়াও বলে।
সিনেমায় আপনার চরিত্রটা কেমন?
এটা একটা ড্রিম ক্যারেক্টার। অনেকটা ‘কভি খুশি কভি গম’-এর করিনা কপূরের মতো। বলতে পারেন মডার্ন ভার্সন অফ করিনা। আমার চরিত্রের নাম শ্রেয়া। সাইকোলজির ছাত্রী। সেক্সি, বুদ্ধিমতীর একটা কম্বিনেশন।
সেটে নাকি আপনাকে খুব প্যাম্পার করা হত?
সেটে আমাকে বাবা (পরিচালক বাবা যাদব) একদম তুলোয় মুড়ে রেখেছিল। হেয়ার ড্রেসার থেকে টেকনিশিয়ান পর্যন্ত সবাই প্যাম্পার করত। এমন মিষ্টি করে কথা বলত, মনে হত ওদের জন্য জান দিয়ে দিতে পারি। আর বাবা যাদবের ‘বাবা’ নামটা আমার কাছে সার্থক। মানে সত্যিই আমাকে বাবার মতোই স্নেহ করেন। আমার মতে টলিউডের হিরো-ডিরেক্টরের বেস্ট ডু’য়ো হলেন জিত্ আর বাবা যাদব। তবে শুটিংয়ের থেকেও প্রোমোশন আমি বেশি এনজয় করেছি।
কেন?
আসলে প্রোমোশনে আমি মানুষ জিত্দাকে চিনেছি। বুঝেছি ‘জিত্ দ্য সুপারস্টার’ ঠিক কেমন। বাংলাদেশে ইদের একটা শোতে আমি জিত্দার ইন্টারভিউ করেছিলাম। প্রায় দু’ঘণ্টা আমরা টানা কথা বলে গিয়েছি। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
‘জিত্ দ্য সুপারস্টার’কে চুমু খেয়ে কেমন লাগল?
(মুখটা অল্প নামিয়ে) চুমু খেতে একটু লজ্জা লেগেছিল প্রথমে। এটা ন্যাচারাল তাই না? যাঁকে সবসময় টিভিতে দেখেছি অন্য নায়িকাদের সঙ্গে ইন্টিমেট সিন করছে তাঁকে জড়িয়ে ধরাটা…।
অঙ্কুশ, ওম, জিত্— আপনার তিন নায়কের মধ্যে কে বেশি হট?
(বিরাট পজ) তিনজনের কাজের ধরন আলাদা। তিন জন তিন রকম। তবে জিত্দাই হট অ্যান্ড সেক্সি। নটিও। কিন্তু খুব সফিস্টিকেটেড ভাবে নটি। মানে অনেকটা মিলিয়েনিয়ার টু দ্য বিলিয়েনিয়ারের মতো। তবে এটা দর্শকরা ভাল বলতে পারবেন কার সঙ্গে আমার জুটি বেশি সেক্সি লাগে।
ছবিটার ইউএসপি কি? দর্শক কেন দেখবেন?
এই ছবিটা ফুল কর্মাশিয়াল। কিন্তু একটা আলাদা মেসেজ আছে। হল থেকে ফিরে দর্শক ভাববেন, আরে বাদশা যেটা করছে সেটা যদি আমিও করি, তাহলে আমিও হয়তো লোকের উপকার করতে পারব। ছবিটা মানুষকে এনকারেজ করবে।
বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেত্রী জয়া আহসান মনে করেন, যৌথ প্রযোজনার ছবি একদম চলে না। আপনি কি বলবেন?
দেখুন, উনি বাংলাদেশের অ্যাসেট। আমরা ওনাকে খুবই সম্মান করি। তবে এটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত। হতে পারে কোনও পয়েন্ট অপ ভিউ থেকে বলেছেন। তবুও ওনাকে সম্মান করেই বলছি, এই ছবিগুলো না চললে প্রযোজকরা টাকা ঢালতেন না। আমি গর্ব করে বলি, ‘আশিকি’ যৌথ প্রযোজনায় আমার প্রথম ছবি বাংলাদেশে সবথেকে বেশি চলা একটা সিনেমা। টানা আট সপ্তাহ চলেছিল। ফলে দর্শক দেখছেন, তাই এগুলো তৈরি হচ্ছে। আমি মনে করি, অভিনয়টাই আসল। কোন ফিল্ম সেটা বিচার করে দর্শক আমাদের ভালবাসেন, এমনটা নয়। আর কর্মাশিয়াল ছবি মানেই খুব নাচ-গান এমনটা নয়। কর্মাশিয়াল ফিল্মেও সফিস্টিকেশন, স্মার্টনেস এগুলো রাখা যায়। এটা কোনও শিল্পীর সিদ্ধান্ত, তিনি কী ভাবে দর্শকদের কাছে নিজেকে প্রেজেন্ট করবেন।
আরও পড়ুন
‘মাঝে মাঝে ভাবি আমি কি টলিউডের ইমরান হাশমি হয়ে যাচ্ছি?’
‘আমাগো মাইয়া’ নুসরত
পরের ছবিটা ‘প্রেমী ও প্রেমী’ আমার কাছে খুব স্পেশাল। কারণ এটা আমার প্রথম বাংলাদেশি ছবি। পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। হিরো শুভ। এতদিন দেশের মানুষের অভিযোগ ছিল, আমি বাংলাদেশের ছবি করি না। এ বার সেটা বন্ধ হবে।
আজকের স্পেশাল প্ল্যান কী?
আম্মু আমার জন্য বেগুনি রঙের একটা কামিজ বানিয়েছে। সেটা আজ পরব। আর রাতে হয়তো বিফ আর কাবাব বানাব।
ইদে মায়ের কাছে কোনও স্পেশাল ডিশের আবদার আছে?
নুডলস (চওড়া হাসি)। আম্মু ইদের দিন নুডলস দারুণ বানায়। চিকেন থাকে, বিফ থাকে, সব রকম সবজি থাকে। অন্য দিন বানালেও ইদের দিনের টেস্টটা আলাদা হয়।
আর সেই বিশেষ বন্ধু? যাঁর কথা আগের সাক্ষাত্কারে কিছুতেই বললেন না। ইদে তাঁর সঙ্গে দেখা হবে না?
(মুচকি হাসি) আমরা ফ্যামিলি ফ্রেন্ড। দেখা তো হবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy