ছবির দৃশ্যে স্নেহা, সায়ন।
কলেজে পড়াকালীন কবিতা লেখার শুরু। একই সঙ্গে মুক্তি পায় প্রথম কবিতার বই এবং শর্ট ফিল্ম। ফলে শর্ট ফিল্ম পরিচালনার অভিজ্ঞতা আগেই ছিল। তবে ফিচার ফিল্ম এই প্রথম। ‘অসুখওয়ালা’। আর তিনি পরিচালক পলাশ দে। আগামিকাল নন্দন ২-তে দেখানো হবে ছবিটি।
পলাশদের পারিবারিক একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। সেখান থেকেই এ ছবির গল্পের ভাবনা। একটি পত্রিকায় ওষুধের দোকানকে কেন্দ্র করে লিখতে শুরু করেন পলাশ। হঠাত্ই থামিয়ে দেন সে লেখা। কারণ? পলাশ বললেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম এটা ভয়ঙ্কর জায়গায় যাচ্ছে। পরে এটা নিয়ে স্ক্রিপ্ট করব, ফিল্ম করব।’’
সেই ছবি পলাশ তৈরি করে ফেলেছেন। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে মনোনীত হওয়ার পর ঢাকা চলচ্চিত্র উত্সবেও মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি।
আরও পড়ুন, ‘কম্পিটিশন? কার সঙ্গে? বুম্বাদা সব সময় নম্বর ওয়ান’
ছবির গল্প অনুযায়ী, রুদ্র মণ্ডল (সায়ন ঘোষ) একটি ওষুধের দোকানের মালিক। কেউ তাঁর দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ার পর সেরে ওঠেন। কারও বা মৃত্যু হয়। রুদ্র এবং স্ত্রী মিষ্টি (স্নেহা চট্টোপাধ্যায়) নিঃসন্তান। তাঁদের চিকিত্সা চলছে। কিন্তু মিষ্টি ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পর ওষুধরাই যেন জীবন্ত চরিত্র হয়ে ওঠে রুদ্রর জীবনে। সায়ন, স্নেহা ছাড়াও এ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিত সাহা।
ছবির দৃশ্যে অমিত সাহা।
পরিচালক শেয়ার করলেন, “ছবিটা আমি অমিতকে ভেবেই লিখেছি। আর মিষ্টির চরিত্রে স্নেহাই আমার প্রথম পছন্দ ছিল। সায়নকে আমার প্রথম টিভিতে দেখে পছন্দ হয়। পরে ওর সঙ্গে কথা বলার পরই রাজি হয়ে যায় ও।”
আরও পড়ুন, মুক্তির আগেই ‘অব্যক্ত’র মুকুটে নতুন পালক
সিঙ্গুরে ছবিটির শুটিং করেছেন পলাশ। এ ছবির ক্যামেরার দায়িত্বে অমর দত্ত। মিউজিক করেছেন ময়ূখ-মৈনাক। সম্পাদনার ভার ছিল সংলাপ ভৌমিকের ওপর। উত্পাল পাল প্রযোজিত ছবিটি দেশ-বিদেশের বেশ কিছু চলচ্চিত্র উত্সবে ঘোরার পর আগামী বছর মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন পলাশ।
(সিনেমার প্রথম ঝলক থেকে টাটকা ফিল্ম সমালোচনা - রুপোলি পর্দার বাছাই করা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy