পায়েল চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে পাওয়া।
শিলিগু়ড়ির একটি হোটেল থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর। তাঁর যে ফোন নম্বর পুলিশকে দেওয়া হয়েছে, সেটির সুইচড্ অফ হয়ে গিয়েছিল কলকাতাতেই। তাঁর ফোনের শেষ টাওয়ার লোকেশন তাই বলছে। মোবাইল পরিষেবা সংস্থার কাছ থেকে এরকমই জানতে পেরেছে পুলিশ।
ফলে খোঁজ শুরু হয়েছে, পায়েল শিলিগুড়িতে এসে অন্য কোনও মোবাইল ফোনের সংযোগ নিয়েছিলেন কিনা। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘আমরা মোবাইল সংস্থার কাছ থেকে জানতে পেরেছি, পায়েলের মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৩ সেপ্টেম্বর রাতে। ওই সিমকার্ড অন্য কোনও মোবাইলে ভরা হয়েছিল কিনা তা যাচাই করে দেখছি।’’
৫ সেপ্টেম্বর বুধবার শহরের একটি হোটেলের একটি ঘর থেকে পায়েলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরেও হোটেলের ঘরে কোথাও তাঁর মোবাইলের হদিশ পাওয়া যায়নি। পায়েলের কল রেকর্ডের তথ্যও ওই সংস্থার কাছে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশের তথ্যের সঙ্গে পায়েলের বাবার দাবিও মিলে গিয়েছে। পায়েলের বাবা প্রবীর গুহ জানিয়েছিলেন, সোমবার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বরই তাঁর মেয়ের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল পরিবারের। মঙ্গলবার থেকেই পায়েলের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে সুইচড্ অফ শোনা যাচ্ছিল।
তাহলে কী মন খারাপ বলে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল পায়েল? পুলিশের একটি অংশ বলছে, সেরকম হওয়ার সম্ভাবনা কম। মানসিক অবসাদের মধ্যে কলকাতা থেকে হঠাৎই শিলিগুড়ি এসে পড়া এবং তারপর টোটোয় চেপে পছন্দের হোটেল খুঁজতে যাওয়ার ঘটনা তা বলছে না বলেই সন্দেহ পুলিশের একাংশের।
পুলিসের পক্ষ থেকে মোবাইল পরিষেবা সংস্থার কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে, সোমবারের পরে পায়েলের পুরনো ওই সিমকার্ড অন্য কোনও ফোনে ভরা হয়েছিল কিনা। পায়েলের পরিবারেরও দাবি, ফোন পাওয়া গেলে শেষ পর্যন্ত কার কার সঙ্গে পায়েল কথা বলেছে তা অন্তত জানা যেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy