দীপিকা থেকে প্রিয়ঙ্কা— ক্লিভেজ উন্মুক্ত পোশাকে নায়িকারা মানেই বিতর্ক!
অথচ সে সব বিতর্কের মধ্যেই এই সাহসী পোশাকের তুমুল আবেদনে মাতছে গোটা ফিল্মি দুনিয়া। কলকাতায় নিজের ছবি ‘দিলওয়ালে’র প্রোমোশনে এসে কাজল যেমন কলকাতার মেয়েদের বলেই ফেললেন মেয়েরা অবশ্যই ক্লিভেজ দেখানো পোশাকের আঁচ নিন। বেশি করে।
নয় শুধু রেড কার্পেট
এক লাল টুকটুক গাউন। তার আবরণে ঢাকা সারা শরীর। শুধু নেকলাইন নেমে গিয়েছে গভীর খাদে। কিছু দিন আগে এমনই এক ক্লিভেজ রিভিলিং গাউনে ঝলসে উঠছিল সোনাক্ষীর বক্ষবাঁকের উষ্ণতা। এমনকী ‘বাজিরাও মস্তানি’তে ‘মস্তানি’ দীপিকাও বাজিরাও-এর মন ভোলাতে বেছে নিয়েছিলেন ক্লিভেজ রিভিলিং পোশাক।
কিন্তু কেন এত জনপ্রিয় এই পোশাক? শহরের ডিজাইনার প্রণয় বৈদ্য যেমন বললেন এটা আসলে বলিউড রেড-কার্পেট স্টাইল। তবে উৎসবের কলকাতায় মেয়েরা সাহসী হয়ে উঠছেন বক্ষ-বিভাজিকার সেলিব্রেশনে। হুকাবার থেকে নাইটক্লাব— সব জায়গাতেই ক্লিভেজ উন্মুক্ত পোশাকের হাতছানি।
রঙিন নজরে আপনি
পার্টি সিজন তো চলছেই। পরের পর নেমন্তন্ন। রাতভর হুল্লোড়ে এই পোশাকেই তো সবার রঙিন নজর থাকবে আপনার দিকে। ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল বললেন টলিউডের প্রিমিয়ার পার্টিতে ক্লিভেজ শোয়িং পোশাক নায়িকারা পরছেন। কিন্তু সাঙ্ঘাতিক গভীর নেকলাইন নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা তুলনায় কম। ‘‘হ্যাঁ বিশেষ কিছু পার্টিতে মেয়েরা পরছেন। তবে সিলেক্টিভ লোকজনের সামনে। তবে এই ট্রেন্ড শহরে ঢুকে পড়েছে। এখানেও মেয়েরা পরবেন। হয়তো বলিউডের মতো অতটা নয়,’’ সটান জবাব তাঁর।
আত্মবিশ্বাসীদের জন্য
দীপিকা, সোনাক্ষীরা ক্লিভেজ উন্মুক্ত পোশাক পরলে মনেই হয় না তাঁরা অতিরিক্ত কিছু দেখানোর চেষ্টা করছেন। ওই পোশাকে তাঁরা এতটাই স্বচ্ছন্দ, সাবলীল। প্রণয় বললেন, শুধু পরে ফেললেই হল না। ক্যারি করতে জানতে হবে। এই সব পোশাক আত্মবিশ্বাস না থাকলে একেবারেই ক্যারি করা যায় না। ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক দত্ত বললেন ব্যাচেলর্স পার্টির জন্য বা বিদেশে বিশেষ কোনও ইভ সেলিব্রেট করতে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছেও খুব চাহিদা এই পোশাকের। অভিষেক এই পোশাকগুলো বানাচ্ছেন কালো, লালের মতো বোল্ড রঙে। তবে তিনি এও বললেন শিয়ার পোশাকও একই এফেক্ট আনতে পারে।
ক্লিভেজ-চর্চা
বডি টাইপ ঠিক না হলে কিন্তু এই পোশাক কখনওই ক্যারি করা যাবে না। তাই রুটিন কিছু এক্সারসাইজ করতেই হবে। ফিটনেস বিশেষজ্ঞ চিন্ময় রায়ের কথায় ক্লিভেজ সুন্দর দেখাতে বুকের অংশকে টাইট করতে হবে। তাই সপ্তাহে তিন দিন বেঞ্চ প্রেস, পুশ আপ মাস্ট। এতে বুকের আলগা ভাব কেটে গিয়ে পেশি সুঠাম হয়। সাহসী এই পোশাক সাবলীল ভাবে ক্যারি করা যায়। সোমদীপার কলেজ ফেস্ট সামনেই। হাঁটুঝুলের এমনই এক পোশাক কিনেছেন তিনি। বললেন, ‘‘পরব। ওপরে শর্ট জ্যাকেট থাকবে। ফেস্ট-এ গিয়ে জ্যাকেটটা থাকবে না যদিও।’’ চোখে দুষ্টুমির ঝিলিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের ছাত্রীর।
... বাকি মেয়েরা শুনছেন তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy