Advertisement
১৮ মে ২০২৪

শীতেও উষ্ণ

বাতাসে শীতের আমেজ। আর শীতে উষ্ণ থাকবেন কী করে — জানাচ্ছেন বিউটিশিয়ান শর্মিলা সিংহ ফ্লোরাআগে শুনতাম বছরে ছয় ঋতু। কিন্তু এখন আর সব ঋতুর দেখা মেলে না। সব যেন ওলট-পালট। এখন হেমন্ত বা শীত তেমন টের পাওয়া যায় না। তবে শীতকালে সারা দিনের পরে শরীরে একটা শুষ্ক রুক্ষ ভাব টের পাওয়া যায়।

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

আগে শুনতাম বছরে ছয় ঋতু। কিন্তু এখন আর সব ঋতুর দেখা মেলে না। সব যেন ওলট-পালট। এখন হেমন্ত বা শীত তেমন টের পাওয়া যায় না। তবে শীতকালে সারা দিনের পরে শরীরে একটা শুষ্ক রুক্ষ ভাব টের পাওয়া যায়। সারা বছর ত্বক ও চুল যেমন-তেমন ভাবে মেনটেন করা সম্ভব, কিন্তু শীতকালে তা সম্ভব নয়। এই সময় একটু বেশি করে শরীরের যত্ন নিতে হয় বা নেওয়া উচিত। যদি সঠিক যত্ন না নেওয়া হয়, তবে নিজের বয়সের থেকে আপনাকে বেশি বয়স্ক দেখাবে।

শীতকালের যত্ন মানে তেল ও জলের সঠিক মিশ্রণে ত্বক ও চুলের পরিচর্যা। যেহেতু এ সময় আর্দ্রতা কমে যায় ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। সে কারণে প্রচুর জল ও তরল পানীয় খাওয়া দরকার। তেলের ব্যবহারও বাড়ানো উচিত। তবেই শীতে ত্বক ও শরীর ঠিক রাখা সম্ভব।

ত্বক ভাল রাখার ১০টি উপায়

১) স্নানের সময় জল অতিরিক্ত গরম করবেন না। উষ্ণ জলে স্নান করুন, না হলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল কমে যাবে।

২) স্নানের আগে ভাল করে তেল মাখা উচিত। সর্ষের তেল, অলিভ অয়েল বা অ্যারোমা তেলও চলবে।

৩) ময়শ্চারাইজার হল শীতকালে ত্বকের সেরা বন্ধু। স্নানের পর ময়শ্চারাইজার লাগানো উচিত।

৪) শীতে যেহেতু বেশি জামাকাপড় পরা হয়, তাই মনে হতে পারে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলেও চলবে। কিন্তু শীতকালে সূর্যের তেজ অনেক বেশি। তাই সানস্ক্রিন মাখা দরকার, নইলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

৫) শীতে জল খাওয়ার প্রবণতা আমাদের কম। এবং খাবার গরম গরম খাওয়ার অভ্যাস। এতে শরীর ড্রাই হয়ে যায়। তাই বেশি বেশি জল খাওয়া দরকার।

৬) ইনার হাইড্রেশন : এটা খুব জরুরি। এ সময় জলীয় পদার্থযুক্ত ফল খাওয়া উচিত। এই সব ফল শরীরের ভিতরটা হাইড্রেট করে রাখে।

৭) এই সময় ত্বকে খুব ড্রাই সেলস হয়। ত্বক বয়স্ক লাগে। সে জন্য এক্সফলিয়েশন করা দরকার। প্রথমে তেল মেখে, তারপর স্ক্রাব করতে হবে।

৮) শীতকালে ত্বক খুব ময়লা হয়। তাই খুব ভাল অ্যারোমাযুক্ত ক্লিনজার দিয়ে অন্তত দু’বার ত্বক পরিষ্কার করা দরকার।

৯) শীতকালে মাস্ক লাগালে ত্বক থাকে টানটান, মসৃণ ও নরম। অলিভ অয়েল, কলা, দই ও অ্যারোমা অয়েল দিয়ে মাস্ক লাগাতে হবে।

১০) চুল শীতে খুব রুক্ষ হয়ে যায়। তাই চুলে তেল মাখা, শ্যাম্পু করা ও কনডিশনার লাগানো উচিত।

মোদ্দা কথা হল, শীতকালে সারা শরীরের যত্ন করা উচিত। না হলে ত্বক ফেটে কষ্ট পাবেন। চট করে ফাটা ঠিক করা সম্ভব হয় না।

শীতকালের যত্নআত্তি

ত্বক পরিষ্কার— উপাদান : ১ চামচ মধু, ১ চামচ দুধ, ৫ ফোঁটা লেমন অয়েল।এই সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে বাঁচবে।যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা নিম্নোক্ত উপাদানগুলি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। উপাদান : ১ চামচ গ্লিসারিন, ১ চামচ শশার রস, ১ চামচ এল্ডার ফ্লাওয়ারের রস। ত্বক নরম ও মসৃণ থাকবে।

চোখের যত্ন: ১ চামচ অলিভ অয়েল, ১ চামচ ক্যামোমাইল অয়েল মিশিয়ে মাসাজ করলে চোখের বলিরেখা কমে যাবে। চলে যাবে চোখের কালো ভাবও।

ত্বককে টানটান রাখতে: এ সময় টোনার ব্যবহার করা উচিত। ১০ ফোঁটা ভদকা, ২ ফোঁটা আঙুরের রস, ২ ফোঁটা অরেঞ্জ তেল, ২ ফোঁটা লেমন তেল ও ১ চামচ কর্নফ্লাওয়ার মেশালে তৈরি হবে টোনার।

ত্বকের ময়শ্চারাইজার: ১ চামচ সাদা মাখন, ১ চামচ সিড তেল, ৪ ফোঁটা রোজ তেল মিশিয়ে মাখলে মুখ খুব নরম ও মসৃণ থাকবে।

শীতকালের ব়়ডি লোশন: ১ চামচ কোকো বাটার ১ চামচ অ্যাভোকড ওয়েল, ৫ ফোঁটা রোজ অয়েল, ৫ ফোঁটা ভ্যানিলা, ৫ ফোঁটা অরেঞ্জ তেল মিশিয়ে লাগালে সারা শরীর নরম থাকবে।

শীতকালের ফেস মাস্ক: ১ চামচ গ্রাউন্ড ওটমিল গুঁড়ো, ১ চামচ ইয়োগার্ট, ১ চামচ মধু, ও ১ চামচ ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে লাগালে ত্বক নরম ও টানটান থাকবে।

অয়েলি মাস্ক: ১ চামচ গ্রিন ক্লে, ১ চামচ অ্যাপ্রিকট অয়েল, ১০ ফোঁটা ট্রিটি অয়েল, ২ ফোঁটা পালমারাসা অয়েল মিশিয়ে চুল ধুলে, চুল থাকবে মসৃণ।

রেজুভেনেটিং বাথ মিল্ক

১০০ গ্রাম দুধ, ২ চামচ গ্রাউন্ড অ্যালমন্ড, রোজ ওয়াটার, ৫০ ফোঁটা রোজ অয়েল, ৫০ ফোঁটা অরেঞ্জ অয়েল মিশিয়ে স্নান করলে শীতকালে শুষ্ক ত্বক উধাও হয়ে যাবে। ত্বক হবে চকচকে, নরম, তুলতুলে। শীতেও তারুণ্য ধরা থাকবে ত্বক ও চুলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

winter Skin care
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE