শরীরে ‘সেরেটোনিন’ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও মাথায় ব্যথা হতে পারে। ছবি- প্রতীকী
মাসের তিন-চারটে দিন বাঁধাধরা মাথা যন্ত্রণা। ঠান্ডা লাগেনি, চোখের ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হয়নি। কখনও কখনও যন্ত্রণার তীব্রতা এমন আকার ধারণ করে যে, কাজ তো দূর, শুয়েও আরাম পাওয়া যায় না। মাইগ্রেনের ব্যথা বুঝে ওঠার আগেই ব্যথা অনেকটা দূর পৌঁছে যায়।
কারও কারও ক্ষেত্রে মাথার নির্দিষ্ট একটি দিকে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়া, মাথা দপদপ করা, বমি বমি ভাব, চোখের মণির পিছনে ব্যথা হওয়া, আলোর দিকে তাকাতে না পারার মতো লক্ষণ দেখা যায়। ব্যথা সহ্যের বাইরে চলে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে এই কষ্ট নিরাময় করার নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই।
অনেকেই মনে করেন, এই ব্যথা জিনঘটিত। অর্থাৎ পরিবারের কারও থাকলে, এই রোগ আপনার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শরীরে ‘সেরেটোনিন’ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও এই ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথা হলে কেমন অনুভূতি হয়, তা কমবেশি সকলেই জানেন। কিন্তু এই প্রথম বিজ্ঞানীরা দেখালেন, ঠিক ওই সময় মস্তিষ্কের ভিতরে কেমন ব্যথার প্রভাব কী রকম।
লস এঞ্জেলসের দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারত বিজ্ঞানীরা উন্নত মানের ‘ম্যাগনেটিক রেজ়নেন্স ইমেজিং’ বা ‘এমআরআই’ এর মাধ্যমে মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
সেখানে দেখা গিয়েছে, মাইগ্রেন আক্রান্ত ব্যক্তির ‘পেরিভাসকুলার স্পেস’ সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কে তুলনায় অনেকটা বড়।
সাধারণত মস্তিষ্কের এই জাতীয় গহ্বরগুলি, রক্তবাহিকা দিয়ে ঘেরা এবং তরল দিয়ে পরিপূর্ণ। সম্প্রতি এই গবেষণা থেকে পাওয়া এই ফলাফল ভবিষ্যতে চিকিৎসার কাজে বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy