অনেক সময় আক্কেল দাঁত ভেঙে মাড়ির মধ্যে আটকেও যায়, সে ক্ষেত্রে ব্যথা আরও তীব্র হয়। ছবি: সংগৃহীত
দাঁতের ব্যথা সব সময়ই কষ্টকর। তবে আক্কেল দাঁতের ব্যথায় দীর্ঘ দিন ধরে যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। আক্কেল দাঁত তোলার সময়ে অনেকের আবার অস্ত্রোপচার করতে হয়। এ ক্ষেত্রে অসহ্য যন্ত্রণায় জ্বরও চলে আসে, এমনকি গলা, কানেও ব্যথা শুরু হয়। খাবার খেতেও অসুবিধা হয়। আক্কেল দাঁত অন্য দাঁতগুলিরও ক্ষতি করে। অনেক সময় আক্কেল দাঁত ভেঙে মাড়ির মধ্যে আটকেও যায়, সে ক্ষেত্রে ব্যথা আরও তীব্র হয়। যদিও ওষুধ দিয়ে এই ব্যথা নিরাময় করা যায় তবে ঘরোয়া প্রতিকার আরও কার্যকর।
কী ভাবে দূর হবে আক্কেল দাঁতের ব্যথা?
নুন জল: ঈষদুষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। এতে দাঁতের গোড়ায় থাকা ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত কমে। ফলে আক্কেল দাঁত যেখানে উঠছে, সেই জায়গায় কোনও সংক্রমণ থাকলে, তা কমে যায়। তা ছাড়া এতে মাড়ির ব্যথারও উপশম হয়।
লবঙ্গ: দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ খুবই কার্যকর। মুখের মধ্যে ব্যথার এলাকায় একটি লবঙ্গ দাঁতে চেপে রাখতে হয়। এই লবঙ্গের রসে সেখানকার সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়ার মৃত্যু তো হয়ই, একই সঙ্গে ব্যথাও কমে। এ ছাড়া ব্যথার জায়গায় লবঙ্গের তেলও লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতেও ব্যথা দূর হবে।
প্রতীকী ছবি
ঠান্ডা-গরম সেঁক: সারা দিনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠান্ডা-গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে মুখের বাইরে থেকে। একটি তোয়ালেতে বরফ নিয়ে ঠান্ডা সেঁক দিলে ব্যথা কমবে। গরম সেঁক দিলে রক্ত চলাচল বাড়বে। ফলে ব্যথার দ্রুত উপশম হবে।
হলুদ জল: দাঁতের ব্যথা কমাতেও হলুদের জুড়ি নেই। এক কাপ গরম জলে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, দু’টি লবঙ্গ ও দু’টি শুকনো পেয়ারা পাতা নিন। কুলকুচি করুন। মাড়ির ক্ষত ও দাঁতের ব্যথায় আরাম পাবেন।
পুদিনার রস: পুদিনা পাতায় অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। পুদিনা পাতার রসে তুলো ভিজিয়ে মাড়িতে লাগান, দাঁতের আক্কেল দাঁতের ব্যথায় আরাম পাবেন। গরম গরম পুদিনা পাতার চা পান করলেও সুফল মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy