মরসুম বদলের এই সময় সর্দি-কাশি, জ্বর যেন নিত্যদিনের সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত।
কখনও মেঘ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে, আবার কখনও বাইরে থেকে গলদঘর্ম হয়ে ফিরতে হচ্ছে। মরসুম বদলের এই সময় সর্দি-কাশি, জ্বর যেন নিত্যদিনের সমস্যা। খুসখুসে কাশি থেকে গলাব্যথা, সেই সঙ্গে জ্বর— ঠান্ডা লাগার এই লক্ষণগুলি অনেকের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। তবে ঠান্ডা লাগলে তা এড়িয়ে গেলে চলবে না একেবারেই। রোগের মোকাবিলা করতে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই, তবে দ্রুত সুস্থ হতে এই পর্বে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলাও প্রয়োজন। ঠান্ডা লাগলে অনেক সময় নানান কিছু খেতে ইচ্ছা করে। তবে খাওয়ার আগে জেনে রাখা জরুরি, ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হলে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
কফিতে থাকা ক্যাফিন শরীরের আর্দ্রতা অত্যধিক মাত্রায় কমিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
বাইরের ভাজাভুজি
জ্বরের মুখে বাইরের মুখরোচক খাবার খেতে বেশ লাগে। গরম চায়ের সঙ্গে শিঙাড়া, পকোড়া যেন মন ভাল করে দেয়। কিন্তু সর্দি-কাশির সময় অত্যধিক মাত্রায় এই খাবারগুলি খেলে সমস্যা হতে পারে। ভাজাভুজি খেলে গলার খুসখুসে ভাব বেড়ে যেতে পারে। কাশি বাড়তে থাকে। এই সময় বাইরের খাবার বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভাল। তা ছা়ড়া জ্বর হলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে। এই ধরনের খাবার আবার পেটের গোলমালের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সেই ঝুঁকি এড়াতে অসুস্থতার সময় বাড়ির খাবার খাওয়াই ভাল।
অ্যালকোহল
শরীর অত্যধিক গরম করে তোলে এই ধরনের পানীয়। মদ্যপান করলে ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যায়। গলা শুকিয়ে আসার সমস্যা কাশি আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে তাড়াতাড়ি কাশি যেতেও চায় না। এই জন্য কাশির সময় অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
কফি
গলাব্যথা, সর্দির সময় গরম গরম চা, কফি স্বস্তি দেয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকা ক্যাফিন শরীরের আর্দ্রতা অত্যধিক মাত্রায় কমিয়ে দেয়। শরীরে ক্যাফিন প্রবেশ করতেই প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। জলের ঘাটতি তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। গলা শুকিয়ে যায়। তাতেই ঘন ঘন কাশি পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy