খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম যত বাড়ে, ততই খাদ্যে বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত
গরমের সময়ে একটু তেলমশলাদার রান্না খেলেই পেটের সমস্যায় ভুগতে হয়। তার উপর আজ বিয়েবাড়ি, কাল অফিসের পার্টি তো লেগেই রয়েছে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম যত বাড়ে, ততই খাদ্যে বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। গরমে এই অসুখের প্রবণতা বাড়লেও সারা বছরই খাদ্যে বিষক্রিয়ার ভয় তাড়া করে বেড়ায় আমাদের।
হজমের সমস্যা ছাড়াও বমি, জ্বর, আমাশা বিভিন্ন উপসর্গের হাত ধরেই এই অসুখ বাসা বাঁধতে পারে আমাদের শরীরে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অপরিষ্কার জল, বিশেষ কোনও খাবার সহ্য না হওয়া কিংবা ব্যাক্টেরিয়া-ছত্রাক সংক্রমিত খাবার থেকেই এই অসুখ ছড়ায়। খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অবহেলা করলে এই অসুখ কিন্তু মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
বিশেষ কয়েকটি খাবার নিয়ম করে খেলেই এই বিষক্রিয়া থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন। রইল তারই হদিশ।
১) অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ পেটে সংক্রমণের কমাতে সাহায্য করে। ঈষদুষ্ণ গরম জলে দু’ চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
২) কলা: পটাশিয়াম ও ফাইবারে ভরপুর কলাও খাদ্য বিষক্রিয়া কমাতে দারুণ উপকারী। এই সময়ে দিনে দু’ থেকে তিনটি কলা খেতে পারেন।
৩) তুলসি পাতা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গোটা পাঁচেক তুলসি পাতা ও দুটি এলাচ চিবিয়ে খেয়ে নিন। সংক্রমণ কমবে।
৪) জিরা: পেটের যে কোনও সমস্যা দূর করতে জিরার কোনও জুড়ি নেই। খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে পেটে অস্বস্তি হয়। এ ক্ষেত্রে পাকস্থলির সংক্রমণ কমাতে একটা পাত্রে জল নিয়ে তাতে জিরা, ধনেপাতার রস এবং অল্প নুন মিশিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। হালকা ঠান্ডা হলে খেয়ে ফেলুন। পেটের যন্ত্রণা দূর হবে, ব্যাক্টেরিয়াগুলিও ধ্বংস হবে।
৫) রসুন: রসুনের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল গুণ রয়েছে। প্রতিদিন খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে টক্সিন পদার্থগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। পেটের অসুখ হলেও রসুন খেতে পারেন। খালি রসুন খেতে না পারলে এক চা চামচ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy