মধ্যবয়সে সুস্থ থাকতে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। ছবিঃ সংগৃহীত
বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোনোর পর থেকেই নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। চল্লিশের পর থেকে শরীরে কার্যক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। কথায় আছে, চল্লিশ পেরোলেই চালশে, এই কথাটা পুরোটা না হলেও শরীর ভাঙতে শুরু করে এই বয়সটার পর থেকেই। তবে মধ্যবয়সে সুস্থ থাকতে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। রোজের খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়ার পাশাপাশি ভরসা রাখা প্রয়োজন কিছু যোগাসনের উপরে। কিন্তু আগে থেকে অভ্যাস না থাকলে আচমকা হরেক রকমের আসন অনুশীলন করা সহজ নয়। তাই এমন কিছু যোগাসন করা জরুরি, যেগুলি একটু বেশি বয়সে করতে শুরু করলে চাইলেও রপ্ত করা সহজ হবে। রইল তেমন কয়েকটি সহজ কিন্তু কার্যকরী যোগাসনের খোঁজ।
দণ্ডাসন
পিঠ সোজা করে মেঝেতে বসুন এবং পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। হাতের তালু নিতম্বের পাশে মেঝেতে রাখুন। হাতের তালু মেঝেতে রেখেই হাত ও মেরুদণ্ড লম্বা এবং সোজা করতে থাকুন, সোজা রাখুন ঘাড় ও মাথা৷ দেহ টানটান রেখে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিন এবং এই ভঙ্গিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
পদহস্তাসন
দুই পায়ের মাঝে দূরত্বে রেখে শরীর শিথিল করে দাঁড়ান। হাত থাকুক পাশে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। শরীর টান টান করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে কানের পাশ দিয়ে দুই হাত সোজা করে মাথার উপরে তুলুন। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মেরুদণ্ড দীর্ঘায়িত করে সামনের দিকে ঝুঁকতে থাকুন। আঙুল থাকবে মাটির দিকে। হাঁটু যেন বেঁকে না যায় খেয়াল রাখুন। নিচু হয়ে হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরুন। সেটা না পারলে আরামদায়ক ভাবে যতটুকু ঝুকতে পারবেন ততটুকুও করুন। বেশি নিচু হওয়ার দরকার নেই। এই ভঙ্গিতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন।
বীরভদ্রাসন
দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ছড়িয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাত যেন একদম সোজা ও আকাশের দিকে মুখ করা থাকে। এর পর এক দিকে ঘুরে সেই দিকের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকান। ২০ সেকেন্ড মতো স্থির হয়ে থেকে বিশ্রাম নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy