প্রাচীনকাল থেকে কোন সময়ে যাত্রা করলে শুভ হবে আর কোন সময়ে যাত্রা করলে অশুভ হবে এটা বিশেষভাবে ভাবা হয়ে আসছে। রাজারা যুদ্ধযাত্রা এবং মৃগয়ায় যাওয়ার আগে জ্যোতিষ পণ্ডিতদের কাছে যাত্রার শুভ-অশুভ ক্ষণ জেনে নিতেন।
সেই হিসেবে বর্তমান যুগেও যাত্রার আগে লোকে দিনক্ষণ নিয়ে ভাবে। পাহাড়ে ভ্রমণ বা বিমানে যাওয়া বা জলপথে যাওয়ার পূর্বে অধিকাংশ মানুষ যাত্রা সময়ের খুঁটিনাটি জানতে জ্যোতিষের কাছে আসে। বর্তমান আলোচনা সেই বিষয়েই।
(১) পঞ্জিকা মতে যাত্রা আরম্ভ করার শুভ মুহূর্ত বিচারে, শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, সপ্তমী, দশমী, একাদশী ও ত্রয়োদশী তিথি— এই তিথিগুলি যাত্রা আরম্ভের পক্ষে খুবই শুভ ও ভাল তিথি। এমনকি কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথিও যাত্রার পক্ষে শুভ।
(২) জ্যোতিষ মতে, পুনর্বসু, অশ্বিনী, পুষ্যা, হস্তা, শ্রবণা, রেবতী ও ধনিষ্ঠা নক্ষত্র চলাকালীন ভ্রমণ শুরু করলে ভ্রমণে বিপদ, নানা ধরনের দুর্ঘটনা ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই নক্ষত্রগুলি যাত্রায় বিশেষ শুভ ফল দেয়।
(৩) আর একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, যাত্রায় হস্তা, অশ্বিনী, অনুরাধা ও পুষ্যা অতি শুভ। চেষ্টা করতে হবে বিশেষ করে কোনও দুর্গম যাত্রায় এই নক্ষত্রগুলিকে কাজে লাগাতে পারেন। এরপর, যাত্রার পক্ষে মধ্যম শুভ যে নক্ষত্র গুলি সেগুলি হল উত্তরভাদ্রাপদ, পূর্বভাদ্রাপদ, উত্তরাষাঢ়া, পূর্বাষাঢ়া, জেষ্ঠা, পূর্বফাল্গুনি, শতভিষা, রোহিণী ও মূলা।
(৪) এ বার আসা যাক বারে। জ্যোতিষ মতে শুক্রবার, সোমবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার, মঙ্গলবার ও শনিবারে যাত্রা করলে যাত্রা হবে শুভ। এই বারগুলিতে যাত্রা করলে বিঘ্ন কম হবে। এর মধ্যে রবিবারে যে কোনও যাত্রা করলে ততটা শুভ নাও হতে পারে। তাই রবিবারটা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল।
(ক্রমশ)