আমরা জানি, নাক কত রকম কাজ করে। ঘুমানোর সময় শুধু নাসিকা গর্জন আর ঘ্রাণে অর্ধেক খাওয়া সম্পন্ন করাই তার একমাত্র কাজ নয়। নাকের গঠনই কিন্তু বাতলে দেয় আপনার ব্যক্তিত্বও। জেনে নিন নাকের গঠন অনুযায়ী মানুষ কেমন হয়। আজ দ্বিতীয় পর্ব।
নাকের অগ্রভাগ যদি বাঘের নাকের মতো হয়- অর্থাৎ একেবারে হিংস্র দেখতে এবং নাকের অগ্রভাগ ঘামে। তবে এই ব্যক্তি হবে দুর্দান্ত পরিশ্রমী এবং এরা পরিশ্রম করেই জীবনের উচ্চ শিখরে পৌঁছবে। অপরের ধন সম্পত্তির প্রতি এদের কোনও প্রকার লোভ লালসা থাকবে না। নিজের চেষ্টায় সংসার জীবনে মাথা তুলে দাঁড়াবে। তবে এরা হবে দুর্দান্ত সাহসী এবং শত্রুপক্ষকে কখনই পরোয়া করবে না। অপরের উপকার করতে গিয়ে এরা নিজের পায়ে কুড়ুল মারে। এদের দাম্পত্য জীবন সুখের করতে রাগ, জেদ ও অহঙ্কার বর্জন করা উচিত, না হলে দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা লক্ষ্যণীয়।
যে সকল ব্যক্তির নাকের গোড়ার দিকটা পাখির ঠোঁটের ন্যায় দেখতে- তাদের জীবনে বহু অর্থ সম্পদ ও সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ থাকলেও তা বেশি দিন ভোগ করতে পারে না। অর্থাৎ নাকের উপরের অংশ মোটা এবং নীচের গোড়ার অংশ ক্রমশ পাখির ঠোঁটের মত সরু, দেখতে একটু বেমানান এরা ধন সম্পদে পরিপূর্ণ হলেও অকালে জীবনাবসান ঘটে যায়। এদের আর একটি বৈশিষ্ট্য হল, এদের বিপরীত লিঙ্গের লোকেরা চরিত্রহীন হয়। অর্থাৎ স্বামীর নাক এমন হলে স্ত্রী চরিত্রহীন হবে আবার স্ত্রীর নাক এমন হলে স্বামী চরিত্রহীন হবে। সন্তান-সন্ততি সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের কাছে পাওয়া দুষ্কর হয়। যার ফলে শেষ বয়সে মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়।
আরও পড়ুন: নাকের গঠন দেখে মানুষ চিনুন (প্রথম পর্ব)
যে সকল জাত ব্যক্তির নাকের ডগা চ্যাপ্টা- তারা আজীবন অপরের দাসত্ব করে চলে। উচ্চশিক্ষার সম্ভাবনা কম। অল্প বয়সে প্রেমজ বিবাহের সম্ভাবনা এবং বিবাহিত জীবনে সুখী হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম। কিছু ক্ষেত্রে দ্বি-বিবাহের সম্ভাবনাও থাকে। অত্যন্ত কঠোর মনোভাব সম্পন্ন হওযায় জগত এদের হাড়কিপটে বলে। অল্প বয়সে পিতৃ-মাতৃ বিয়োগ হতে পারে। পরগৃহে গিয়ে বিদ্যাশিক্ষা লাভ করতে হতে পারে। কষ্ট করে কোনও কিছু করলেও কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। জীবনব্যাপি সংগ্রাম করে যেতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy