বাবা-মা-ভাইয়ের সঙ্গে আয়ুষ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার জামশেদপুরের বাড়িতে পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
পরীক্ষার ফল ততক্ষণে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওয়েব সাইট খুলছে না। ফলে বাড়িতে তখন উৎকন্ঠার পরিবেশ। তখন বিকেল চারটে। হঠাৎ বেজে উঠল টেলিফোন। স্কুলের অধ্যক্ষই দিলেন খবরটা। শুধু রাজ্যেই নয়, আইএসসি পরীক্ষায় ৯৯.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে সে দেশের মধ্যে সেরা। তার নাম আয়ুষ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি জামশেদপুরের পারডিতে। জামশেদপুরের লয়লা হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আয়ুসের কথায়,“পরীক্ষা ভালই হয়েছিল। ভালো ফলাফলের আশায় ছিলাম। তবে এতটা ভাবিনি।”
বাবা টাটা স্টিলের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মা অনুরাধা দেবী গৃহবধূ। এ যুগের উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আয়ুস এ পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করে না। এ নিয়ে তার কোনও আক্ষেপও নেই। মা অনুরাধা দেবীর কথায়,“ছেলে কোনওদিন মোবাইল চায়নি। এবারে ও বাইরে পড়তে যাবে। এ বার তো একটা ফোন দরকারই। এ বার কিনে দেব।”
পরীক্ষায় এত ভাল ফল করার জন্য কত ক্ষণ লেখাপড়ার প্রয়োজন? কত জনের কাছে প্রাইভেট টিউশন নিতে হয়েছিল? লয়লা হাইস্কুলের এই ছাত্রের উত্তর, “কুড়ি-বাইশ ঘন্টা পড়লেই যে ভাল ফল হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এটা একটা কৌশল। পরীক্ষার সময় প্রতিটি প্রশ্নের আমি কী ভাবে মুখোমুখি হব সেটাই রপ্ত করার দরকার। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে আমি সেটাই শিখেছি। আর একটা জায়গায় আলাদা ভাবে কোচিং নিতে যেতাম।”
বারাণসীতে জন্মালেও আয়ুষের বড় হওয়া জামশেদপুর শহরেই। আবার কলকাতার সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আপাতত
আয়ুষের লক্ষ্য আইআইটি থেকে কেমিক্যাল বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy