সাতষট্টি জন কাশ্মীরি ছাত্র তিন দিনের জন্য সাসপেন্ড হল মেরঠের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অভিযোগ, এশিয়া কাপে ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানকে সমর্থক তাঁরা। পাকিস্তান জেতার পর উল্লাসিত হন। সে সময় অন্য ছাত্ররা এসে মারধর শুরু করেন ওই ছাত্রদের।
রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের কমিউনিটি হলে এশিয়া কাপ ক্রিকেট ম্যাচ দেখছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ শুভার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান। প্রবল উত্তেজনায় উঠছিল স্লোগান। এর মধ্যেই পাকিস্তানের হয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন এক দল কাশ্মীরি ছাত্র। ভারতের উইকেট পড়লেই উল্লাস প্রকাশ করছিলেন তারা। এতেই বিরক্ত হন অন্য ছাত্ররা। ম্যাচ শেষে বাধে বড় গণ্ডগোল। পাকিস্তানের জয়ে উল্লসিত কাশ্মীরি ছাত্রদের উপর হঠাৎই হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রেরা। চলে মারধর, ভাঙচুর।
ঘটনার পরে ৬৭ জন কাশ্মীরি ছাত্রক্যে সাসপেন্ড করলেও হামলাকারী অন্য ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দেশদ্রোহী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে, ভাঙচুর করে হস্টেলের সম্পত্তিও নষ্ট করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি, হস্টেলের ভিতরে ভাঙচুর চালিয়েছে ওই ছাত্ররা। খেলা চলার সময় পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিল ওরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়।”
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই কাশ্মীরি ছাত্রদের বিরুদ্ধে অন্য ছাত্রেরা খেপে ওঠায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। মেরঠ জুড়ে সংঘর্ষ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। তাই আগাম সতর্কতায় ৬৭ জন অভিযুক্ত ছাত্রকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy