মণিপুরে সংঘর্ষবিরতিতে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলির অন্তর্দ্বন্দ্বের শিকার হল আরও দুই জঙ্গি নেতা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত রাতে মার ন্যাশমাল আর্মির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কেএনও সহ-সভাপতি এল ইনাওতেকে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। পাশাপাশি ইউনাইটেড কুকি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা জামখোলাই জৌকে চান্ডেল জেলার মোরেতে খুন করে সন্দেহভাজন কেএনও জঙ্গিরা। তার দেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০ জুন ইউকেএলএফের যুগ্ম সম্পাদককে মলনম গ্রামে গুলি করা হয়। তবে তিনি বেঁচে যান। ২১ জুন সাত নম্বর মণিপুর রাইফেলসের চত্বরে থাকা একটি বাড়িতে প্রিপাক ভিসি শাখার চেয়ারম্যান এন নবচন্দ্র ও তাঁর সঙ্গীকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। ঘটনার জেরে কেসিপি কে-কে চেয়ারম্যান-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
একের পর এক সংঘর্ষবিরতিতে থাকা জঙ্গি নেতার মৃত্যুতে চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে।
অন্য দিকে, সংঘর্ষবিরতিতে থাকা এনএসসিএন (রিফর্মেশন) গোষ্ঠীর চার জঙ্গিকে হত্যা করল আসাম রাইফেলস। জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে আজ অরুণাচলপ্রদেশ ও মায়ানমারের সীমান্তে খোনসা জেলার খেতি গ্রামে জওয়ানরা অভিযান চালান। আসাম রাইফেলসের দাবি, খাপলাংয়ের সঙ্গী ওয়াংতিং নাগার নেতৃত্বে রিফর্মেশন শাখা সংঘর্ষবিরতিতে থাকলেও খেতিতে ঘাঁটি করে ওই শাখার কয়েকজন জঙ্গি তোলাবাজি, অস্ত্র পাচার, মাদক ব্যবসা চালাচ্ছিল। আজ জওয়ানরা জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে গেলে তারা জঙ্গলের ভিতরে থাকা ঘাঁটি থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলিতে জঙ্গি বাহিনীর ক্যাপ্টেন জানো টেকওয়া ও সার্জেন্ট মেজর লম্বো পাংসার মৃত্যু হয়। মেলে একটি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি পিস্তল। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর সময় ফের জওয়ানদের উপরে হামলা হয়। পাল্টা গুলিতে মারা যায় জঙ্গি বাহিনীর সার্জেন্ট টোংবাই ও কর্পোরাল মাংখু ওয়াংসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy