Advertisement
২৭ জুলাই ২০২৪

উধাও বিখ্যাত ‘হ্যান্ডলবার’ গোঁফ, নতুন অভিনন্দন

পাকিস্তানি সেনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে আজই প্রথমবার প্রকাশ্যে যুদ্ধবিমান ওড়াতে দেখা গেল অভিনন্দনকে।

তখন-এখন

তখন-এখন

সংবাদ সংস্থা
পঠানকোট শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১১
Share: Save:

উধাও হয়ে গিয়েছে সেই বিখ্যাত ‘হ্যান্ডলবার’ গোঁফ। পাকিস্তানের সেনার হাতে বন্দি অবস্থায় যা নিয়ে আলোচনা, প্রশংসা ছড়িয়েছিল সীমান্তের দু’পাশে, বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সেই গোঁফ কোথায় গেল, তা নিয়ে আজ দিনভর আলোচনা চলল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পাকিস্তানি সেনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে আজই প্রথমবার প্রকাশ্যে যুদ্ধবিমান ওড়াতে দেখা গেল অভিনন্দনকে। দুপুরে পঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মিগ-২১ নিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা আকাশে ওড়েন তিনি। দুই আসনের বিমানে পাশে ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধনোয়া। যুদ্ধবিমানে চড়ার আগে সাংবাদিকদের সামনে এসে ছবি তোলার সুযোগ দেন তাঁরা। তখনই দেখা যায় অভিনন্দনের নতুন রূপ। হারিয়ে গিয়েছে সেই বিখ্যাত গোঁফটি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কেউ আবার লিখেছেন, গোঁফ গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু হাসি আর ভঙ্গি তো একই রয়েছে!

২৭ সেপ্টেম্বর বালাকোট অভিযানের পরের দিন, ভারতীয় আকাশ সীমায় ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান নিয়ে সেটিকে তাড়া করেন অভিনন্দন। পাক বিমানকে ধ্বংস করতে সফল হন তিনি। তবে পাল্টা আঘাত আসে তাঁর বিমানেও। বিমান ছেড়ে আকাশে ঝাঁপ দিয়ে পড়েন। হাওয়ায় ভেসে পৌঁছে যান পাকিস্তানে। সেখানে পাক সেনার হাতে বন্দি অবস্থায় প্রবল চাপের মধ্যেও বায়ুসেনার কোনও গোপন কথা ফাঁস করেননি তিনি। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। শেষ পর্যন্ত অভিনন্দনকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য ৩৬ বছর বয়সি অভিনন্দনকে সম্প্রতি বীরচক্র সম্মান দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান থেকে ফেরার পরে সোমবারেই প্রথম প্রকাশ্যে যুদ্ধবিমান ওড়াতে দেখা গেল অভিনন্দন বর্তমানকে। সঙ্গে বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধনোয়া। দেখা যাচ্ছে, পাল্টে গিয়েছে অভিনন্দনের সেই বিখ্যাত গোঁফটি । ছবি: পিটিআই।

ওই ঘটনার ছয় মাসের মধ্যেই ফের যুদ্ধবিমানে ফিরেছেন অভিনন্দন। সে জন্য এ দিন তাঁর প্রশংসা করেন ধনোয়া। বলেন, ‘‘অভিনন্দনের সঙ্গে এক যুদ্ধবিমানে সওয়ার হওয়া আমার কাছে সম্মানের।’’ কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে লড়েছেন ধনোয়া। সেই প্রসঙ্গ টেনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা দু’জনেই পাকিস্তানের সঙ্গে লড়েছি। দু’জনেই বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়েছি।’’ ১৯৮৮ সালে বিমান থেকে আকাশে ঝাঁপ দিতে হয়েছিল ধনোয়াকেও। সে বার কাজে ফিরতে নয় মাস লেগেছিল তাঁর। তবে বিমান থেকে আকাশে ঝাঁপিয়ে পড়ার ছয় মাসের মধ্যেই যুদ্ধবিমানে ফিরেছেন অভিনন্দন। বেঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অব এরোস্পেস মেডিসিন অভিনন্দনের শারীরিক পরীক্ষা করে তাঁকে যুদ্ধবিমানে চড়ার ছাড়পত্র দিয়েছে।

যুবক বয়সে অভিনন্দনের বাবা, তৎকালীন এয়ার মার্শাল সীমাকুট্টি বর্তমানের সঙ্গে মিগ-২১ যুদ্ধবিমানে চড়েছেন ধনোয়া। অবসর নেওয়ার আগে আজই শেষ বার যুদ্ধবিমানে উড়লেন ধানোয়া। তবে পাশের আসনে বাবা নয়, পেলেন ছেলেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Abhinandan Varthaman Indian Air Force
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE