যত দোষ সব ইভিএমের!
তাই উত্তরপ্রদেশের ভোটে হারের পরে ইভিএমে কারচুপির কথা জানাতে আদালতে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন মায়াবতী। আর এক পরাজিত নেতা অরবিন্দ কেজরীবালের দাবি, ইভিএমে নয়, দিল্লির আসন্ন পুরভোট করাতে হবে ব্যালটে। একই দাবি কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনেরও। যা দেখে মুচকি হেসে বিজেপি নেতারা বলছেন, মায়াবতী, কেজরীবাল বুঝতে পারছেন বারবার হারের চোটে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ক্যাডাররা। তাদের চাঙ্গা করতেই তাই এখন ইভিএম আর নির্বাচন কমিশনকে খলনায়ক বানাতে চাইছেন কেজরীরা।
উত্তরপ্রদেশ দখলের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পরে আজ হারের পর্যালোচনা-বৈঠক ডেকেছিলেন বিএসপি নেত্রী। সেখানে ভরাডুবির যাবতীয় দায় তিনি ইভিএম তথা নিবার্চন কমিশনের উপরে দিয়েছেন। মায়ার অভিযোগ, ‘‘ইভিএমে কারচুপি করেই ভোটে জিতেছে বিজেপি।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এমন না হলে মুসলিম মহিলারা কোনও দিন বিজেপিকে ভোট দিতে পারেন!’’ গত ১১ মার্চ ভোটের ফল সামনে আসতেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ হন মায়াবতী। কিন্তু কমিশনের ‘নীরবতা’ দেখে আজ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাহুলকে বাঁচাতে আত্মত্যাগের ঢল
ব্যালট ফেরানো সম্ভব নয়— তা স্পষ্ট করেছেন কমিশনের কর্তারাও। ইভিএমে কারচুপি যে সম্ভব নয়— তা-ও জানিয়েছেন কমিশনের প্রাক্তন কর্তা কে জে রাও। আবার প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশির মতে, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের পরে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় মানুষের মনে সন্দেহ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এই সন্দেহ দূর করা। আজ কমিশন জানিয়েছে, বৈজ্ঞানিক ভাবে ভোট গণনার জন্য ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া, ভোট শুরুর আগে সব দলের প্রতিনিধিদের সামনে ইভিএমে নকল ভোট করানো হয়। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় ইভিএম ঠিক ভাবে কাজ করছে নাকি তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে।
সব দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস পঞ্জাবে জিতলে ইভিএম কাজ করে। আর উত্তরপ্রদেশে বিরোধীরা হারলে কারচুপি হয়ে যায়। অদ্ভুত যুক্তি! হারের দায় ইভিএমের ঘাড়ে দিয়ে পিঠ বাঁচাতে চাইছেন বিরোধীরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy