রাজধানীর দূষণ পরিস্থিতি। —ফাইল চিত্র।
দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান আবার কমতে শুরু করেছে রাজধানী দিল্লির। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামগ্রিক ভাবে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৪০০-র কাছাকাছি রয়েছে। দীপাবলির বেশ কয়েক দিন আগে বাতাসের গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু দীপাবলির পর আবার দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে দিল্লির অধিকাংশ এলাকায়। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দিল্লির আরকে পুরম এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪১৭, আনন্দ বিহার এবং নারেলা এলাকায় একিউআই-এর মাত্রা ৪৩০, ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪০৩, পঞ্জাবি বাগ এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪২৩।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির মুখ দেখেছিল দিল্লি। পরিবেশবিদেরা অনুমান করেছিলেন বৃষ্টি হলেই রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান উন্নত হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছিল। দূষণের মাত্রায় বিশেষ হেরফের না হলেও বিষধোঁয়ার চাদর অনেকটা কেটে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু দীপাবলি উপলক্ষে শব্দবাজি এবং আতশবাজির ব্যবহার, যানবাহনের ধোঁয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাসের গুণগত মান কমে গিয়ে দূষণ পরিস্থিতি আবার ‘ভয়াবহ’ হয়ে উঠেছে দিল্লির।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে দূষণ পরিস্থিতির কথা ভেবেই গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার। এই প্রসঙ্গে দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, বৃষ্টির ফলে রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি হয়েছে। তাই এখনই এই পথে হাঁটছে না তারা। তবে পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে যে, দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান কেমন থাকে সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা উচিত কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীর্ঘ দিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। একাধিক বার করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ধোঁয়াশা এবং দূষিত বাতাসের কারণে দু’মাস আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া সনিয়ার বুকে ফের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টও। দিল্লির ভয়াবহ দূষণের ফলে অসুস্থতা বৃদ্ধি পেতে পারে, তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে আপাতত রাজধানী ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ মেনেই ভোটমুখী রাজ্য রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে যাচ্ছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy