অখিলেশ যাদব
ফুলপুর-গোরক্ষপুরের মডেলকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল বিরোধী দলগুলি। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) শিবিরের দাবি, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে মায়াবতী এবং রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছনো নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। আসন্ন কর্নাটক নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস শিবিরের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। ওই ভোটের পর কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। আপাতত মায়াবতী শিবিরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এসপি। সূত্রের বক্তব্য, প্রাথমিক স্তরে এসপি-র প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির কাছ থেকে। কর্নাটকে জেডি (এস)-এর সঙ্গে জোট গড়ে লড়ছেন মায়াবতী। সেখানকার প্রচারে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে একযোগে হঠানোর ডাক দিয়েছেন তিনি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সমীকরণ ভিন্ন। সেখানে কংগ্রেস এবং এসপি-কে সঙ্গে নিয়েই বিজেপিকে হারানোর জন্য তিনি লড়বেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
এসপি সূত্রের বক্তব্য, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে গোটা সাতেক আসন দেওয়া হবে কংগ্রেসকে। যার মধ্যে থাকবে বারাণসী, কানপুর, অমেঠী, রায়বরেলী, শাহাজাহানপুরের মতো কেন্দ্রগুলি। আরএলডি-কে মথুরা, বাগপত, মেরঠ — এই তিনটি আসন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বাকি ৭০টি আসন আধাআধি ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মায়াবতীকে। তবে এই নিয়ে এখনও কিছু জানাননি মায়াবতী। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, এসপি ৩৪টি আসনে এবং মায়াবতীর দল ৩০টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল।
এসপি-র এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের লোকসভা মানচিত্রে নেই বিএসপি। ফলে ৩৫টি আসনে লড়তে তাদের আপত্তি থাকার কথা নয়। আসন সমঝোতার পরে আমরা পুরোপুরি ভাবে বিএসপি প্রার্থীর পাশে থাকব।’’ আপাতত রাজভড়, কুর্মি, পটেল সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন অখিলেশ। যে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মায়াবতীর প্রভাব বেশি (দলিত, পিছড়েবর্গ) সেখানে হাত দিচ্ছেন না অখিলেশ। দলীয় সূত্রের খবর, শারীরিক কারণেই ৮০টি আসনে প্রচারে যাওয়া সম্ভব নয় মুলায়ম সিংহ যাদবের। তবে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলি যে ১৪টি মণ্ডলে বিভক্ত, তার সব ক’টিতেই যাবেন ‘নেতাজি’। তিনি নিজে লড়বেন মৈনপুরী থেকে। অখিলেশ দাঁড়াবেন কনৌজ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy