Advertisement
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Shillong

‘সব বাঙালি বাংলাদেশি’! উত্তপ্ত শিলং

মেঘালয়ের ইছামতীতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সময় ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে এক খাসি ট্যাক্সিচালকের মৃত্যু হয়।

শিলংয়ে সেই বিতর্কিত ব্যানার। নিজস্ব চিত্র

শিলংয়ে সেই বিতর্কিত ব্যানার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি ও শিলচর শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০২:৩৭
Share: Save:

মেঘালয়ের ইছামতীর ঘটনা নিয়ে বাঙালি সংগঠনের অভিযোগ-আন্দোলনের জেরে এ বার মেঘালয়ের সব বাঙালিকেই ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে দিল খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ)। তাই পুজোর মুখে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালো শিলংয়ে।

মেঘালয়ের ইছামতীতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সময় ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে এক খাসি ট্যাক্সিচালকের মৃত্যু হয়। তার জেরে স্থানীয় বাঙালিদের ভয়ে গ্রামছাড়া হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ অনেককে ধরে। জঙ্গি সংগঠন এইচএনএলসিও অবিলম্বে বাঙালিদের রাজ্য ছাড়ার হুমকি দেয়।

সম্প্রতি ফের অভিযোগ ওঠে ইছামতীর পুরুষদের এখনও গ্রামে ফিরতে দেওয়া, ব্যবসা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামে থাকা মহিলা-শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে। কিন্তু তদন্তে ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্যে নির্যাতনের কথা প্রমাণিত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বরাকের আমরা বাঙালি সংগঠন, সিআরপিসি আন্দোলনে নেমেছে। সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস সভাপতি সুস্মিতা দেবও মেঘালয়ের বাঙালি নিগ্রহ নিয়ে মুখ খোলেন৷ নালিশ জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

আরও পড়ুন: তেজস্বীর সভায় মানুষের ঢল

মঙ্গলবার নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি ও আমরা বাঙালি অসম-মেঘালয় সীমানায় বিক্ষোভ দেখায়৷ কাছাড় জেলার মালিডহরে গিয়ে শতাধিক মানুষ মেঘালয় সরকারের কাছে বঙ্গভাষীদের নিরাপত্তা চেয়ে স্লোগান দেয়৷ কাটিগড়ায় ধরনা দেন যুব কংগ্রেসিরা| বাঙালি সংগঠনের প্রতিনিধিরা মেঘালয়ের রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে অভিযোগ করেন, বাঙালিদের বিরুদ্ধে পুলিশ, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, ছাত্র সংগঠন, জঙ্গি- সকলেই একজোট হয়েছে।

এর পরেই, আজ মেঘালয়ের সব বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে পোস্টার সাঁটে কেএসইউ। কোথাও লেখা হয়, ‘বাংলাদেশিরা মেঘালয়, ত্রিপুরা, অসম ও মিজোরামে অত্যাচার বন্ধ কর।’ সুস্মিতা দেবকেও মেঘালয়ের ব্যাপারে নাক না-গলাতে সতর্ক করা হয়। সুস্মিতাদেবী সেই পোস্টারের ছবি-সহ প্রধানমন্ত্রী ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে ট্যাগ করে টুইটে লেখেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার তো দূরের কথা, মেঘালয়েই এমন ব্যানার!

আরও পড়ুন: গেরুয়া ছোপ মুছতে সক্রিয় অকালি দল

স্বদেশে বাঙালিদের উপরে নির্যাতনের আরও প্রমাণ লাগে কী?’ রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, সাম্প্রদায়িক বা ভাষিক বিভেদ কখনওই কাম্য নয়। বিষয়টি জানার পরেই পুলিশ গিয়ে সব ব্যনার সরিয়ে ফেলেছে। মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাকমেন রিম্বুই বুধবার বলেন, “বাংলা ও অসমে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সুস্মিতা দেব হঠাৎ করে মেঘালয়ের বাঙালিদের ব্যবহার করে খামোকা বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইছেন। এতে কারও ভাল হবে না।” মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বক্তব্য, “পরিস্থিতি যাতে খারাপ না-হয় তাই আমরা খাসি ও বাঙালি সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলছি। কেন্দ্রের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE