রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে রামনাথ কোবিন্দের নাম ঘোষণা করেই দলিত-তাসটি খেলেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গত কাল রাষ্ট্রপতি পদে জয়ের পর কোবিন্দকে সামনে রেখেই এ বার দেশজুড়ে কোমর বেঁধে দলিত রাজনীতি শুরু করছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার।
আর বিজেপির এই দলিত-রাজনীতির মোকাবিলায় বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী কালই রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে রাস্তায় নামার কথা ঘোষণা করে জমি ধরে রাখতে নামছেন। দলের নেতাদের নিয়ে আগামী রবিবার বৈঠকে বসছেন তিনি। একমাত্র দলিত-মুখ হিসাবে নিজেকে ফের প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন তিনি। পিছিয়ে থাকতে চাইছে না কংগ্রেসও। দলিতরা বরাবরই কংগ্রেসের একটা চিরাচরিত ভোটব্যাঙ্ক ছিল। তা ফেরানোয় জোর দিয়েছেন রাহুল গাঁধীও। আজ বেঙ্গালুরুতে অম্বেডকর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ জন্যই তাঁর যোগ দেওয়া।
সুতরাং বলাই যায়, দেশের কুড়ি কোটির বেশি দলিতকে কাছে টানতে এখন হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
আরও পড়ুন:
কোবিন্দকে বাড়তি ভোট বামেরই, দাবি মমতার
কাল কোবিন্দের জয় ঘোষণার পরই অমিত শাহ দেশের সব দলিত মহল্লায় উৎসব করার নির্দেশ দেন। জয়ের পর কোবিন্দ বলেছেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধিত্ব করতেই তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে যাচ্ছেন। যে গুজরাতে দলিত-নিগ্রহ হয়েছিল, সেখানে দলিত-যাত্রাও শুরু করেছে সঙ্ঘ। অক্টোবর পর্যন্ত চলবে সে যাত্রা। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাতে যোগ দেবেন।
কিন্তু রাহুল গাঁধীর অভিযোগ, মোদী কখনওই দলিতদের দিকে নজর দেন না। তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলিত নিগ্রহ বেড়েছে। সংসদে একজোট বিরোধীরা এই নিয়ে হল্লাও করেছে। অরুণ জেটলির জবাব— দলিত নিগ্রহ ঠেকাতে কঠোর আইন আছে। রাজ্যগুলিকেই সেই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্য সে দায়িত্ব পালন না-করলে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করবে। বিজেপির নেতারা বলছেন, শাসক দল জিতিয়ে রাষ্ট্রপতি করার জন্য যখন এক জন দলিতকে প্রার্থী করছে, আর এক জন দলিতকে কংগ্রেস প্রার্থী করছে হারানোর জন্য। অথচ যখন সংখ্যা ছিল, তখন তারা মীরাকে প্রার্থী করেনি। এই তো কংগ্রেসের দলিত-দরদ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy