কারও সর্বনাশ, কারও পৌষ মাস। কেউ মারা গিয়েছেন, কারও হাত পা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়েও সাহায্যের জন্য কাতরাচ্ছেন। ছুটে এসে অনেকে সাহায্যও করছেন। কিন্তু বিপর্যয়ের মধ্যেও সুযোগ সন্ধানী কেউ কেউ। মৃত আহতদের পকেট হাতড়ে বের করে নিচ্ছেন টাকা-পয়সা। খুলে নিচ্ছেন সোনার হার বা আংটি। কেউ বা হাত থেকে ছিটকে পড়া দামী মোবাইল তুলে নিচ্ছেন নিজের পকেটে।
অমৃতসরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এমন ছবি হয়তো কোনও ক্যামেরায় ধরা পড়েনি, কিন্তু আহত এবং মৃতদের পরিজনদের বর্ণনায় অন্তত তেমন ছবিই ভেসে উঠেছে মানসপটে। বিপর্যয়ের মধ্যেও এমনই এক ছিনতাইয়ের চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। একাধিক মৃত ও আহতদের পরিবারের লোকজন অভিযো করেছেন, দুর্ঘটনার সময় তাঁদের নিকটজনদের মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে নেওয়া হয়েছে। টাকা-পয়সা তো বটেই খোয়া গিয়েছে সোনাদানা, মোবাইলও।
সতের বছরের ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা জ্যোতি কুমারী। তাঁর অভিযোগ, ছেলে সময় গলায় সোনার চেন পরে থাকত। কিন্তু যখন মৃতদেহ সরকারি হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হয়, তখন সেই চেন উধাও। জ্যোতি কুমারীর প্রশ্ন, ‘‘২০ হাজার টাকা দামের মোবাইল না হয় ছিটকে যেতে পারে, কিন্তু পকেটের মানিপার্স, সোনার চেন কোথায় গেল?’’