Advertisement
০৪ মে ২০২৪

হাসপাতালে বন্দি নেতা, কর্তৃপক্ষকে বরখাস্তের সুপারিশ

রাজনৈতিক নেতা, বিত্তবান ব্যক্তি জেল হাজতে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন! আর সেই অসুস্থ রোগীকে সুস্থ করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়! অথচ জেলবন্দি দুঃস্থ কোনও মানুষের ক্ষেত্রে এমনটা করা হয় না। এই মন্তব্য আদালতের। না, পশ্চিমবঙ্গের জেলবন্দি মদন মিত্রের হাসপাতালে থাকা প্রসঙ্গে কলকাতার কোনও আদালতের মন্তব্য এটি নয়। এই মন্তব্য অসমের করিমগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) শাহ সৈয়দ আহাদুর রহমানের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৫ ০৩:০৬
Share: Save:

রাজনৈতিক নেতা, বিত্তবান ব্যক্তি জেল হাজতে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন! আর সেই অসুস্থ রোগীকে সুস্থ করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়! অথচ জেলবন্দি দুঃস্থ কোনও মানুষের ক্ষেত্রে এমনটা করা হয় না। এই মন্তব্য আদালতের। না, পশ্চিমবঙ্গের জেলবন্দি মদন মিত্রের হাসপাতালে থাকা প্রসঙ্গে কলকাতার কোনও আদালতের মন্তব্য এটি নয়। এই মন্তব্য অসমের করিমগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) শাহ সৈয়দ আহাদুর রহমানের। মন্তব্যের লক্ষ্য দক্ষিণ করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা গগৈ মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ।

এই ঘটনায় আদালত করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক তথা করিমগঞ্জ কারাগারের চিকিত্সক গৌতম রায়শর্মা এবং জেল সুপার দিলীপ বরুয়াকে বরখাস্ত করার জন্য সুপারিশ করলেন বিচারক।

একটি আদালত অবমাননার মামলায় সিদ্দেক আহমদকে জেলে হাজতের নির্দেশ দেন এসিজেএম। জেলে দু’-তিন ঘণ্টা থাকার পর বিধায়ক অসুস্থ হয়ে পড়েন। জেলের সরকারি চিকিত্সক গৌতম রায়শর্মা তাঁকে উন্নত চিকিত্সার জন্য করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে পাঠান। দু’দিন চিকিত্সার পর তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিধায়ক সিদ্দেক আহমদ বিচারাধীন বন্দি ছিলেন। অথচ কারাগার কর্তৃপক্ষ আদালতের অনুমতি না নিয়েই বিধায়ককে শিলচরে পাঠিয়েছিলেন। আইনজীবীদের মতে, এটি আইনের পরিপন্থী। বিধায়কের জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে করিমগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সিদ্দেক আহমদকে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর বিষয়ে এসিজেএমকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। এমনকী করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে গঠন করা হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ডও। মেডিক্যাল বোর্ডে থাকা হাসপাতাল সুপার অনুপ দৈতারি, চিকিত্সক অরুণাভ দে, টি কে বনিক, কে এল পাল, ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার সুপারিশ করেছেন এসিজেএম। সেই সঙ্গে হাসপাতাল সুপার, জেলের চিকিত্সক গৌতম রায়শর্মা, জেল সুপার দিলীপ বরুয়াকে বরখাস্ত করতে সুপারিশ করেছেন। সরকারি হাসপাতালের ছয় চিকিত্সকের লিখিত জবানবন্দি সরকারি উকিল রতন দেব আদালতে জমা করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE