সিংহ ভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, মধ্যপ্রদেশে লড়াই হলেও রাজস্থান-ছত্তীসগঢ়ে হারছে বিজেপি। তেলঙ্গানায় চন্দ্রশেখর রাও ফিরছেন, মিজোরামে ক্ষমতা হারাতে পারে কংগ্রেস। কিন্তু সংসদের কৌশল স্থির করতে এসেও দুই শিবিরেই কেন এত চিন্তা ভোটের ফল নিয়ে?
দুই শিবিরের নেতারাই বলছেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে এটাই সেমিফাইনাল। এই ফলেই নির্ভর করবে লোকসভার গতি কোন দিকে এগোবে।’’ কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘বিজেপি নানা ভাবে চাপ দিচ্ছে আমাদের শরিকদের উপর। সিবিআই-ইডি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। বিজেপি যদি কাল খারাপ ফল করে, সেই চাপ না আরও বেড়ে যায় তাদের উপর?’’ আর বিজেপির আশঙ্কা, ‘‘কংগ্রেস বড় রাজ্যগুলিতে বাজি মেরে দিলে ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিতেই আঁচ পড়বে।’’
আরও পড়ুন: লাইভ: ছত্তীসগঢ়ে এ বার কী হবে, তীব্র হচ্ছে কৌতূহল
কিন্তু দুই দলই বলছে— যেই জিতুক, সংসদে তার জোরও বাড়বে। ফলে সংসদের ভবিষ্যৎও নির্ভর করবে ফলের উপর। প্রধানমন্ত্রী আজ সর্বদল বৈঠকে বলেন, ‘‘এটিই এক অর্থে শেষ অধিবেশন, যা উনিশ সাল পর্যন্ত চলবে। ফলে দেশের স্বার্থেই পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হোক সংসদে।’’ গুলাম নবি আজাদ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাদের বক্তব্য, ‘‘আলোচনা আমরাও চাই। কিন্তু সংসদ চলাটা অনেকটাই নির্ভর করছে সরকারের মনোভাবের উপর।’’
আরও পড়ুন: লাইভ: বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে কেসিআর
আজই শিবসেনা ঘোষণা করেছে, রামমন্দির নিয়ে আইন না-আনলে সংসদ চলতে দেবে না। যা শুনে বিরোধীদের মত, এ তো বিজেপিকেই ফায়দা দেওয়ার কৌশল! কংগ্রেস জানিয়েছে, রাফাল নিয়ে জেপিসি-র দাবি আর ইভিএমের ‘কারচুপি’ নিয়ে সরব হবে তারা। আরবিআই, সিবিআই নিয়ে সরব হতে চায় তৃণমূল। সরকার স্পষ্ট বুঝছে, শেষ অধিবেশনটিও হাঙ্গামাতেই কাটবে। তার উপর আজই উপেন্দ্র কুশওয়াহা এনডিএ ছাড়লেন। এনডিএর বৈঠকে আজ আসেননি রামবিলাস পাশোয়ানও। নমো নমো করেই কয়েকটি সাদামাঠা বিল পাশ করাতে চায় সরকার।