আইনজীবী সলমন খুরশিদ। ফাইল চিত্র।
দেশে একমাত্রিক সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টাকে রোখা প্রয়োজন বলে সুপ্রিম কোর্টে সওয়ালে জানালেন আইনজীবী সলমন খুরশিদ।
কর্নাটকে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কর্নাটক সরকার। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়ে হাই কোর্ট জানায়, হিজাব অত্যাবশ্যক ধর্মীয় আচারের অঙ্গ নয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে এ কথা বলেছেন খুরশিদ।
খুরশিদ বলেন, ‘‘কোরানে আছে ঈশ্বরের বাণী। তা পয়গম্বরের মাধ্যমে জেনেছিলেন পয়গম্বরের সঙ্গীরা। তাঁরা সে কথা লিখে রাখেন। কোরানে যা আছে তা মানা ইসলামে আবশ্যিক।’’
হিজাব প্রসঙ্গে খুরশিদ জানান, যদি কোথাও নির্দিষ্ট পোশাক পরার সংস্কৃতি থাকে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সামাজিক বার্তা দেওয়ার প্রথা থাকে বা নির্দিষ্ট ভাষা বলার প্রচলন থাকে তবে তা ওই অনুচ্ছেদের ওই ধারায় সুরক্ষিত। ওই ধারায় সাংস্কৃতিক সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। যা এক জন ব্যক্তির পরিচয়ের অঙ্গ।
খুরশিদ জানান, কর্নাটক হাই কোর্ট সংবিধানের ৫১এ ধারার একটি ধারার উপরে জোর দিয়েছে। তাতে বৈজ্ঞানিক মনোভাব, মানবতা এবং অনুসন্ধিৎসা ও সংস্কারের মনোভাবের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই অনুচ্ছেদেরই অন্য ধারায় সামগ্রিক সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে মহিলাদের ঘোমটা দেওয়ার কথা বলেছেন খুরশিদ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের কয়েকটি অংশে ঘোমটা একটি সাধারণ প্রথা। যাঁরা এমনিতে মাথা ঢাকেন না তাঁরা গুরুদ্বারে যাওয়ার সময়ে মাথা ঢাকেন। মসজিদে যাওয়ার সময়ে মাথা ঢাকা ভারতীয় ঐতিহ্য। এটা কিন্তু সৌদি আরব ও অন্য কয়েকটি দেশে দেখা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy