আয়ুষমন্ত্রী শ্রীপাদ নাইক।
বিষয় নিয়ে বিতর্ক থাকায় লোকসভায় পেশ হতে না হতেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে জায়গা হয়েছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিলের। কিন্তু বিতর্ক তাতে থামছে না। আজ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনেও বিলটি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আয়ুষমন্ত্রী শ্রীপাদ নাইক-কে। প্রশ্নোত্তর পর্বে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, আর্য়ুবেদ চিকিৎসকেরাও কি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ দেওয়ার অনুমতি পাবেন? বিভিন্ন দলের সাংসদদের প্রশ্নের মুখে পড়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেননি মন্ত্রী।
বিজেডির জয় পণ্ডা যেমন বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অভাব ঘোচাতে নতুন স্বাস্থ্য বিলে আর্য়ুবেদ চিকিৎসকেরা ব্রিজ কোর্স করলেই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করতে পারবেন বলে ধারা রয়েছে বিলে। বিষয়টি কি সত্যি?’’ পণ্ডার আশঙ্কা, এতে হাতুড়ে চিকিৎসকদের রমরমা বাড়বে। এনসি নেতা ফারুক আবদুল্লা বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে লোকে অ্যালোপ্যাথিতে বিশ্বাস করে। আর্য়ুবেদ বা হেকিমি ওষুধে নয়। বিলে ঠিক কী বলা হয়েছে, সেই সংশয় দূর করা হোক।’’ বিজেপির অন্দরেও দাবি ওঠে সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করুক এই বিষয়ে ।
লোকসভার বিভিন্ন দিক থেকে পরের পর প্রশ্ন ধেয়ে আসায় অস্বস্তিতে পড়ে যান মৃদুভাষী উত্তর গোয়ার সাংসদ নাইক। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আর্য়ুবেদ চিকিৎসকেরা ব্রিজ কোর্স করালে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করতে পারবেন, এমনটাও আমিও শুনেছি। কিন্তু বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আওতায়। তা ছাড়া বিলটি এখন সংসদীয় কমিটির কাছে রয়েছে। ফলে এর থেকে কিছু বেশি বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’’ বারংবার সাংসদেরা একই প্রশ্ন করে গেলে জবাব একই দিতে থাকেন নাইকে।
এই প্রশ্নও ওঠে যে, আয়ুষ (আর্য়ুবেদ, যোগ, ইউনানি, হোমিওপ্যাথি)-কে অলটারনেটিভ মেডিসিন বলা যায় কি না। আজ প্রশ্নোত্তর পর্বের সূচনায় সাংসদ তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নরসিংহ গৌড় আয়ুষকে অ্যালোপাথির বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বলার প্রতিবাদে সরব হন। তাঁর কথায়, ‘‘আয়ুষ কখনওই অ্যালোপ্যাথির বিকল্প হতে পারে না।’’ জবাবে ওই যুক্তি মেনে নেন মন্ত্রী। নাইক বলেন, ‘‘ছত্তীসগঢ় সরকার প্রথম ওই শব্দটি ব্যবহার করেছিল। তার পর থেকে তা ব্যবহার হয়ে আসছে।’’ বিকল্প শব্দ কী হওয়া উচিত তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন নাইক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy