ধর্মঘট সফল কোনও কোনও অংশে।
দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের শুরুর দিনেই শ্রমিক সংগঠনগুলির স্বীকৃতির জন্য নতুন প্রস্তাব সামনে এনে লোকসভায় বিল পেশ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কংগ্রেস ও বামেরা এই বিলের বিরোধিতায় কক্ষত্যাগ করেছে। ধর্মঘটে যাওয়া ১০টি শ্রমিক সংগঠনই সরকারের প্রস্তাবে আপত্তি তুলেছে। তবে ধর্মঘটের দিনই সংসদে বিল পেশ করে মোদী সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে, কোনও বিরোধিতাকেই গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তারা।
কী রয়েছে শ্রমিক সংগঠন (সংশোধনী) বিল ২০১৯-এ?
মোদী সরকারের দাবি, কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে শ্রমিক সংগঠনগুলির স্বীকৃতি সহজ করতেই ট্রেড ইউনিয়ন আইনে সংশোধন হচ্ছে। এর ফলে শ্রমিক সংগঠনগুলি সহজে ‘স্বীকৃতি’ পাবে। শিল্পক্ষেত্রে অশান্তি কমবে। বর্তমানে চালু থাকা ট্রেড ইউনিয়ন আইনে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে শ্রমিক সংগঠনগুলিকে শুধুমাত্র ‘নথিভুক্ত’ করা হয়। সংশোধনী বিলটি আইনে পরিণত হলে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে শ্রমিক সংগঠনগুলির ‘স্বীকৃতি’ মিলবে। কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে সরকার, শিল্প সংস্থা ও শ্রমিক সংগঠনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সঠিক প্রতিনিধিরাই হাজির হতে পারবেন। কোনও সরকারই ইচ্ছেমতো কাউকে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে খাড়া করাতে পারবে না। বিলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে এই ‘স্বীকৃতি’ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
লোকসভায় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বিল পেশ করতে গেলেই আপত্তি ওঠে। কংগ্রেসের শশী তারুর একে মোদী সরকারের ‘সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ’ আখ্যা দেন। বলেন, ‘‘সরকারের হাতে এতটা ক্ষমতা তুলে দেওয়ার কোনও বিল এ ভাবে তড়িঘড়ি পেশ করা অনুচিত।’’ বিলটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন তিনি। বাম সাংসদেরা জানান, শ্রমিক সংগঠনগুলি যখন দু’দিনের ধর্মঘটে, তখনই এমন ‘শ্রমিক-বিরোধী’ বিল আনল সরকার। সিপিএমের এম বি রাজেশ বলেন, ‘‘এই বিল শ্রম সংস্কারের নামে শ্রমিকদের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।’’ কী প্রক্রিয়ায় ‘স্বীকৃতি’ দেওয়া হবে, তা নিয়ে সরকারের স্পষ্ট ব্যাখ্যা চান তারা। শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘‘আলোচনায় সব স্পষ্ট হবে।’’ গাঙ্গোয়ারের মন্তব্য, ‘‘কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন ধর্মঘটে গেলেও ছয়টি শ্রমিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেনি। গোটা দেশে কোনও প্রভাব পড়েনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy