৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের বেশ কিছু দিন আগেই দেশ-বিদেশের তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের জম্মু-কাশ্মীর ছাড়তে বলেছিল কেন্দ্র। ‘জঙ্গি হামলার আশঙ্কা’-য় জারি হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। সব ঠিক থাকলে, সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে চলেছে বৃহস্পতিবার থেকে। অন্তত সোমবার রাতে তেমনটাই দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। তবু উত্তর নেই বহু প্রশ্নের।
যেমন, গত দু’মাস সেনাবাহিনীর অতন্দ্র প্রহরার মধ্যে উপত্যকায় আদৌ কোনও তীর্থযাত্রী বা পর্যটক আর আছেন কি না, তা অস্পষ্ট। অনেকের প্রশ্ন, তবে কি এর পরে জম্মু-কাশ্মীরে কারও যাওয়ায় কিংবা সেখানে অবাধ ঘোরাফেরায় শিথিল হবে নিষেধাজ্ঞা? কমবে ফোন কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ কার্যত বন্ধ করে রাখার কড়াকড়ি? দোকানপাট খুলবে? কিছুটা হলেও কি স্বাভাবিক হবে গত দু’মাস কার্যত ঘরবন্দি জীবনযাত্রা? উত্তর সময়ের গর্ভেই। তবে মুখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে বারবার দাবি করার পরে এ বার কড়াকড়ি কমাতে না পারলে সরকারের পক্ষেও বিষয়টা স্বস্তির থাকছে না। মার্কিন কংগ্রেসের কমিটি কাশ্মীরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্ল্যাকআউট তুলে নেওয়ার জন্য ভারতের উপরে চাপ বাড়িয়েছে। এই ব্ল্যাকআউট কাশ্মীরের জনজীবনের উপরে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলছে বলে দাবি করেছে তারা।
কিন্তু আপাতত যা ইঙ্গিত, তাতে জীবনযাত্রা চট করে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, সরকার হয়তো দাবি করছে যে, গত দু’মাস উপত্যকা মোটের উপরে শান্তিপূর্ণ। সেনা বা পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাননি এক জনও। কিন্তু অনেকের ধারণা, গোলমাল সে ভাবে বাধেনি সেনার বজ্র আঁটুনির জন্যই। নইলে বিরোধী নেতাদেরও কাশ্মীরে যাওয়া থেকে আটকানো হবে কেন? কেনই বা সামান্যতম জমায়েতেও বিক্ষোভ দেখানো কিংবা পাথর ছোড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছে না সেনা? এ নিয়ে ক্ষোভ উস্কে দিতে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে সেনার ধারণা।