Advertisement
২৬ মার্চ ২০২৩
Dharmendra Pradhan

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে কর্নাটক জিততে দায়িত্ব ধর্মেন্দ্রকে

কর্নাটকে ক্ষমতা দখলে মরিয়া কংগ্রেসও। দলের তিন প্রধান অস্ত্র— দলিত সমাজের মল্লিকার্জুন খড়্গে, ভোক্কালিগা সমাজের ডি কে শিবকুমার এবং ওবিসি নেতা সিদ্দারামাইয়া।

Picture of Dharmendra Pradhan

ধর্মেন্দ্র প্রধান। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:০৪
Share: Save:

কর্নাটকে কঠিন লড়াই। তাই ভোটের আগে ওই রাজ্যে পর্যবেক্ষক হিসেবে দলে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ, দুই নেতারই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ধর্মেন্দ্র প্রধানকে নিযুক্ত করল বিজেপি। কৌশলী নেতা হিসেবে বিজেপিতে সুনাম রয়েছে প্রধানের। এর আগে উত্তরপ্রদেশেও বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

Advertisement

দক্ষিণের একমাত্র বিজেপি-শাসিত রাজ্য কর্নাটকে ক্ষমতা ধরে রাখা এ বার যে বেশ কঠিন, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন মোদীরা। প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়াকে কাটতে বছর দেড়েক আগে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে বাসবরাজ বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি। কিন্তু এতে আখেরে হিতে বিপরীত হয়। ইয়েদুরাপ্পা ও বোম্বাই দু’জনেই রাজ্যের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সমাজের নেতা হলেও ইয়েদুরাপ্পা যে ভাবে ওই গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা করে এসেছেন, বোম্মাই তা করতে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে লিঙ্গায়েত সমাজের। উপরন্তু বোম্মাই সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কাকে করা হবে, তা নিয়েও প্রবল জল্পনা রয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

এ বার কর্নাটকে ক্ষমতা দখলে মরিয়া কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের তিন প্রধান অস্ত্র— দলিত সমাজের মল্লিকার্জুন খড়্গে, ভোক্কালিগা সমাজের ডি কে শিবকুমার এবং ওবিসি নেতা সিদ্দারামাইয়া। এই ‘ত্রয়ী’র মাধ্যমে কর্নাটকে বিজেপিকে পরাস্ত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে কংগ্রেস। অন্য দিকে, একা নির্বাচনে লড়তে নামা বিজেপি অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বেই দীর্ণ। ইয়েদুরাপ্পা ও বোম্মাই গোষ্ঠীতে আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছে দল। প্রথমে বানপ্রস্থে পাঠিয়ে দেওয়া ইয়েদুরাপ্পাকে ফের যে ভাবে দলের সংসদীয় বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তা নিয়ে সেই সময়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এর পরে দিল্লিতে হওয়া দলের সদ্যসমাপ্ত কর্মসমিতির বৈঠকেও ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিট আলাদা করে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। তা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, কর্নাটকে সরকার ধরে রাখার প্রশ্নে ইয়েদুরাপ্পা ফের দলের অভ্যন্তরে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছেন।

ইয়েদুরাপ্পা শিবিরের দাবি, নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার বিষয়ে দলকে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন প্রবীণ এই নেতা। কিন্তু তার বিনিময়ে বিজেপি জিতলে নিজের অথবা ছেলের জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিও জানিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সূত্রের মতে, ইয়েদুরাপ্পা শিবিরকে শীর্ষ নেতৃত্ব বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বোম্মাই গোষ্ঠী। তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই বসে গিয়েছেন। এই অবস্থায় যুযুধান দুই শিবিরকে এক সারিতে এনে দলের কাজে নামানোর গুরুদায়িত্বই পেয়েছেন অভিজ্ঞ নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান। বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, ‘‘সকলকে নিয়ে চলার ক্ষমতা রয়েছে প্রধানের। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের সেতু হিসেবে কাজ করবেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, জাতপাতের সমীকরণ মেনেই ঠিক জায়গায় ঠিক প্রার্থী বেছে নেওয়ার দক্ষতা রয়েছে প্রধানের। তাই কর্নাটকের মতো রাজ্যে জেতার দায়িত্ব তাঁর হাতে দিয়েছে দল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.