মধ্যপ্রদেশে এখন চিন্তা বাড়াচ্ছে কোভিড। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,৭১,৬৩২। এক দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬০৩ জন। চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এ পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃত ১০,৫৫৭ জন। মাস্ক এখন রাজ্যের রাস্তাঘাটে বাধ্যতামূলক। যাঁরা না-পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের জরিমানা করা হচ্ছে। মাসের শুরুতেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ভোপালে জানিয়েছিলেন, তাঁরা লকডাউনের পথে হাঁটবেন না। বরং মাস্ক না-পরার জন্য জরিমানার অঙ্ক বাড়ানো হতে পারে। কোভিড-বিধি যাঁরা ভাঙবেন, তাঁদের জন্য উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কথাও ভাবনায় রয়েছে।
এ সবের মধ্যেই রাজ্যের শাসক দলের নেত্রীর এ হেন কাজে চলছে সমালোচনা। কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী বলে পরিচিত ইমারতি সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ক্ষুদ্র শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন নিযুক্ত হয়েছেন। আগে, কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারে তিনি ছিলেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী। ২০২০ সালের মার্চে জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে যে ২১ জন বিধায়ক দলত্যাগ করে বিজেপিতে গিয়ে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটান, তাঁদের মধ্যে এক জন ইমারতি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির শিবরাজ সিংহ চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য— সবাই পইপই পরে মাস্ক পরার কথা বলছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তা হলে কি আপের স্বেচ্ছাসেবকেরা দিয়েছিলেন বলে মাস্ক ফেলে দিয়েছেন ইমারতি? বিজেপির লোকজন বা সিন্ধিয়াপন্থী কেউ দিলে পরে নিতেন?
কয়েক বছর আগে, ইমারতি তখন রাজ্যের মন্ত্রী; প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে লিখিত ভাষণ পড়তে গিয়ে হোঁচট খেয়ে বাকিটা জেলাশাসকের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিজে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ। সে সময় প্রশ্ন করায় ইমারতি অসুস্থতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিতর্ক থামেনি। সেই প্রসঙ্গ ফের টেনে কেউ কেউ সমাজ মাধ্যমে কটাক্ষ করছেন, তা হলে কি অসুখটা অসচেতনতার?