Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩

মানুষ পাচার প্রতিরোধ বিলে সায় মন্ত্রিসভার

মানুষ পাচারের তদন্তেও এ বার এনআইএ (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা)-কে লোডাল অথরিটি হিসেবে দায়িত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে বিশেষ সেল তৈরির জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের নির্ভয়া তহবিল থেকে এনআইএ-কে অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৮ ০৫:০২
Share: Save:

মানুষ পাচারের তদন্তেও এ বার এনআইএ (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা)-কে লোডাল অথরিটি হিসেবে দায়িত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে বিশেষ সেল তৈরির জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের নির্ভয়া তহবিল থেকে এনআইএ-কে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। মানুষ পাচার (প্রতিরোধ, নিরাপত্তা ও পুনর্বাসন) বিলটি বুধবার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

মানুষ, বিশেষত নারী ও শিশু পাচার সংগঠিত অপরাধ হিসেবে সমাজে গেড়ে বসলেও তা মোকাবিলায় এত দিন কোনও সুনির্দিষ্ট আইন ছিল না। ফলে এই চক্রে জড়িতরা ধরা পড়েও হয় জামিন পেয়ে যেত, অথবা বছর দুয়েক জেল খেটে ফের চক্রে ফিরে আসত। নতুন বিলে ঠিক হয়েছে, পাচার মামলার বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। পাচারকারীর হাত থেকে ধরা পড়া নারী-শিশুদের এক মাসের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং দু’মাসের মধ্যে পুনর্বাসনের বন্দোবস্তও করার কথা বলা হয়েছে। নতুন খসড়া আইনে মানুষ পাচারকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সাধারণ পাচারের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ বছর, এবং আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্দেশীয় চক্রে জড়িত পাচারের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০ বছর ও সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হচ্ছে। সঙ্গে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকার অর্থদণ্ড। এ বছরই বিলটি সংসদে পেশ করতে চলেছে সরকার। দেশে তৃতীয় সর্ব বৃহৎ সংগঠিত অপরাধ এই মানুষ পাচার প্রতিরোধে এই আইনটি তৈরির জন্য বিভিন্ন মন্ত্রক, রাজ্য সরকারগুলির নানা দফতর, বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বিশিষ্ট জনের মতামত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশই এই অপরাধ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন কঠোর আইন নজির তৈরি করবে, অন্য দেশগুলিও যা অনুসরণ করবে বলে মনে করছে মন্ত্রিসভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.