Advertisement
E-Paper

জিএসটি-ক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুতি

কৃষক সমস্যা নিয়ে হাত পুড়িয়ে তাই আগেভাগেই সতর্ক দল। এতটাই যে, বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে ১ জুলাই থেকে তিন মাসের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা আইন বলবতের নির্দেশও জারি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭ ০৪:৩৯

সনিয়া গাঁধী-মনমোহন সিংহদের নিয়ে ৩০ জুন মধ্যরাতে যতই ঘটা করে জিএসটি চালু করার পরিকল্পনা করুন নরেন্দ্র মোদী, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের আঁচ যে দেশজুড়ে আছড়ে পড়বে, তা ভালোই বুঝছে বিজেপি। কৃষক সমস্যা নিয়ে হাত পুড়িয়ে তাই আগেভাগেই সতর্ক দল। এতটাই যে, বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে ১ জুলাই থেকে তিন মাসের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা আইন বলবতের নির্দেশও জারি হয়েছে।

১৯৮০ সালে তৈরি হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইন এমনিতেই নানা কারণে বিতর্কিত। কারণ, এই আইনের আওতায় কোনও অঘটনের আশঙ্কা করলে সতর্কতা হিসেবে সোজা ফাটকে পুরে দেওয়া যায়। এই আইন চালুর ১৩ বছর পর করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই আইনের আওতায় আটক করা ৭০ শতাংশের বেশি লোককেই প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দিতে হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকার নির্দেশ জারি করেছে, ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই আইনের আওতায় জেলাশাসকদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জেলাশাসকরা আইনের আওতায় আটক করতে পারবে। বিজেপি সূত্রের মতে, বাকি রাজ্যগুলিতেও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই পদক্ষেপ করা হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্দেশিকা জারির পর কংগ্রেস এখন থেকেই বিরোধ শুরু করেছে। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদেরও এ বারে ভারত-বিরোধী ও অপরাধীর তালিকায় ফেলল বিজেপি। এটাই কী প্রধানমন্ত্রীর নতুন ভারতের স্বপ্নের ফসল?’’ অর্থনীতি সংক্রান্ত একটি পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে— যতটা বলেন, ততটা সংস্কারপন্থী মোদী নন। সেই প্রতিবেদনটি টুইট করে রাহুল গাঁধী আজই মন্তব্য করেছেন, ‘কিছু অপ্রিয় সত্য তুলে ধরল পত্রিকাটি!’

কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের মতে, ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু হলে দেশজুড়ে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ শুরু করতে পারেন বলে গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছেন। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি তাতে মদত দিচ্ছে। বিজেপির এক নেতার মতে, সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী মধ্যরাতের অনুষ্ঠানে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী ও সব সাংসদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাতেও চিড়ে ভিজবে না জেনে ২-৭ জুলাই পর্যন্ত সব মন্ত্রী ও নেতাদের রাজ্যে-রাজ্যে গিয়ে জিএসটি বোঝানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী নিজেও ১ জুলাই দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামে কর বিশেষজ্ঞদের সম্মেলনে বক্তৃতা দেবেন। বিজেপির এক নেতা বলেন, কৃষক ইস্যুতে হাত পোড়ানোর পর বিজেপির চিরাচরিত ব্যবসায়ী ভোটব্যাঙ্ক খসে যাক, দল তা চায় না।

GST Central Government GST Effect জিএসটি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy