ছররায় একের পর এক কাশ্মীরির অন্ধ হয়ে যাওয়া ক্ষোভ তৈরি করেছিল। পাথর ছোড়ার মোকাবিলায় কাশ্মীরি যুবককে সেনার জিপের সামনে বেঁধে ঘোরানোর পর উপত্যকার ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। আজ কাশ্মীরে সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে স্থানীয় মানুষ সেনা জওয়ানদের উপরেই পাথর ছুড়েছেন। এ থেকে স্পষ্ট, কাশ্মীরের আমজনতা একেবারেই নিরাপত্তা বাহিনীর পাশ থেকে সরে গিয়েছেন।
মোদী সরকারের অন্দরমহলে এই ধারণা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে যে, কড়া হাতে অশান্ত কাশ্মীরকে শান্ত করতে গিয়ে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি সামলাতে কী নীতি নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও দিশেহারা সরকার।
অনন্তনাগে ২৫ মে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই ভোটের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ৭৪ হাজার আধাসেনা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, পাঁচ রাজ্যে সাম্প্রতিক নির্বাচনে মোট ৭০ হাজার আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। কেবল একটি উপ-নির্বাচনে এত আধাসেনা ব্যবহার করার প্রয়োজন হলে এখন ভোট না করাই উচিত বলে মনে করেন তাঁরা। এক স্বরাষ্ট্র কর্তার মতে, ‘‘শ্রীনগরে আমাদেক কথা না শুনে ভোট করতে গিয়ে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল কমিশন। অনন্তনাগে তার পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়।’’