E-Paper

হামাসের ড্রোন কৌশলে চিন্তা, কেন্দ্রের সতর্কতা

গত শনিবার সকালে ইজ়রায়েলের উপর ড্রোন ও প্যারাগ্লাইডারের মাধ্যমে আকাশ পথে হামলা চালায় হামাসের জঙ্গিরা। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পঞ্জাব থেকে জম্মুর বিস্তীর্ণ অংশে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:১৯

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ইজ়রায়েলের উপর হামাসের আকাশপথে হামলা দেখে দেশের পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা ও আধা সেনাকে সতর্ক করে দিল কেন্দ্র।

গত শনিবার সকালে ইজ়রায়েলের উপর ড্রোন ও প্যারাগ্লাইডারের মাধ্যমে আকাশ পথে হামলা চালায় হামাসের জঙ্গিরা। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পঞ্জাব থেকে জম্মুর বিস্তীর্ণ অংশে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আধা সেনা ও সেনা। কাশ্মীরে ৩৭০ প্রত্যাহারের পর থেকে সীমান্তে কড়াকড়ি বেড়ে যাওয়ায় পঞ্জাব ও জম্মু সীমান্তে ড্রোনের মাধ্যমে ফি দিন মাদক ও অস্ত্র পাঠানোর পথ বেছে নিয়েছে মাদক চোরাচালানকারী ও অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। যার পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলেই মত সেনা ও আধা সেনার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘গত প্রায় দু’বছর ধরে ফি দিন পঞ্জাবে বা জম্মুতে এক বা একাধিক ড্রোন গুলি করে নামানো হয়। অস্ত্র থেকে মাদক, নকল টাকা সবই পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে।’’

কিন্তু হামাস যে ভাবে ড্রোনের মাধ্যমে ইজ়রায়েলের ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, সামরিক ও সরকারি ভবনকে নিশানা বানিয়েছে, তা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রকে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, হামাস নিখুঁত ভাবে ড্রোনের মাধ্যমে ইজ়রায়েলের সেনার ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি নিশানা করে উপর থেকে বোমা ফেলে ধ্বংস করে দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধেও ওই প্রণবতা দেখা গিয়েছে। যার ফলে সামান্য কয়েক হাজার টাকার ড্রোন কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ট্যাঙ্ককে ধ্বংস করে দিচ্ছে। যা উদ্বেগের। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একাধিক সেনা ছাউনি, সামরিক যুদ্ধবিমান ঘাঁটি রয়েছে। আগামী দিনে জঙ্গিরা সে সবে আক্রমণ শানাতে হামাসের ধাঁচে ড্রোনের মাধ্যমে বোমা ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বরাষ্ট্র কর্তারা। তাই ইজ়রায়েল যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি দেখে ড্রোন হামলার আশঙ্কায় বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে থাকা সেনা ও আধা সেনাকে।

পঞ্জাব ও জম্মু সীমান্তে এ ধরনের শত্রু ড্রোন চিহ্নিত করতে রেডার ব্যবস্থা ও ড্রোনকে ধ্বংস করতে স্নাইপার এবং অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তি বসানো রয়েছে। কিন্তু ও’পার থেকে ক্রমশ উন্নত মানের ড্রোনের ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। যা রুখতে ভারতের অত্যাধুনিক অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে। যার জন্য মূলত আমেরিকা ও ইজ়রায়েলের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল ভারত। কিন্তু বর্তমান সংঘাতের ফলে সেই প্রযুক্তি কবে হাতে আসবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছে নয়াদিল্লি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Indian Army Israel Palestine Conflict India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy