নির্মলা সীতারামন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম অরুণাচল সফরে গিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামন। যথারীতি ভারতের এই পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট চিন। তাদের হুঙ্কার, ‘‘ওই অঞ্চলের শান্তির জন্য এই সফর মোটেই ভাল হল না।’’
রবিবার অরুণাচলপ্রদেশের আংজো জেলার সীমান্তবর্তী সেনা ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন নির্মলা। রাজ্যে বুদ্ধ মহোৎসবের উদ্বোধন করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তাওয়াং, পাসিঘাট ও তিরাপ-চাংলাংয়ে তিনটি সৈনিক স্কুল তৈরি হবে। ইটানগরে ক্যান্টনমেন্ট ও দিরাংয়ে বিমানঘাঁটি তৈরির বিষয়েও বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:কাশ্মীরে দীনেশ্বর, কথায় না যেতে পাক উস্কানি
চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং সোমবার সাংবাদিক বৈঠক ৎকরে বলেন, ‘‘চিনের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আর সেই বিতর্কিত অংশে পা রাখা এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মোটেই ঠিক নয়।’’ হুয়ার কথায়, ‘‘আমরা আশা করি সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ভারতের পক্ষ থেকে চিনের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া হবে এবং আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখা হবে।’’
চিনের এ ধরনের হুঙ্কার অবশ্য নতুন কিছু নয়। ভারত-চিন সীমান্তে ভারতের কোনও নেতা-মন্ত্রী পা রাখলেই গলা চড়ায় তারা। ভারত বরাবরের মতো এ দিনও সংযত থেকেছে। নয়াদিল্লির তরফে কোনও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়নি চিনকে।
গত মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নাথু লা সীমান্ত সফরকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছিল চিন। বলেছিল, ‘‘১৮৯০ সালের ব্রিটেন-চিন চুক্তির অন্যতম সাক্ষী এই সফর।’’ ১৮৯০-এর ওই ঐতিহাসিক চুক্তিতে ভারত-চিন সীমান্ত স্থির করে দিয়েছিল ব্রিটেন। যদিও ভারত-চিন সীমান্তে ৩৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। চিনের দাবি, অরুণাচলপ্রদেশ দক্ষিণ তিব্বতেরই একটি অংশ। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে দলাই লামার সফরের পরে ক্ষুব্ধ চিন গত এপ্রিলে এর ছ’টি অঞ্চলের নাম বদলে দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy