পাহাড়ি জেলার পাঁচশোরও বেশি পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আপাতত রেল অবরোধ ঠেকাল রেল কর্তৃপক্ষ ও ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন থেকে হারাঙ্গাজাও থেকে মাহুর পর্যন্ত ২৮টি গ্রামের পাঁচশোরও বেশি পরিবারকে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতি পূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। ব্রডগেজ লাইন পাতার সময় অনেক খেতের জমি নষ্ট হয়েছে। পাহাড় কাটার জেরে ধস নেমে লাইন লাগোয়া অনেক বাড়ি, স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে। এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম সেই ক্ষতিপূরণের দাবিতেই আন্দোলনে নেমেছে। রেলের তরফে সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তারা আগামী ১৬ অগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকাল লামডিং-শিলচর লাইন অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরেই টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
গত কাল ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসক অমরেন্দ্র বরুয়া, আইজি অনুরাগ অগ্রবাল পুলিশ সুপার ধনঞ্জয় পি ঘানাবত, উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের ভূমি ও রাজস্ব বিভাগের অফিসার সন্দেশ আরদাও এবং উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার পি পাণ্ডের সঙ্গে ডেভিড কেভমের বৈঠক হয়। বৈঠকে রেলের পাণ্ডে বলেন, উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের রাজস্ব বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত কোন বিল এখনও পর্যন্ত রেলের কাছে পাঠানো হয়নি বলেই তাঁরা এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ঠিক হয়, আগামী দু’দিনের মধ্যে পার্বত্য পরিষদের ভূমি ও রাজস্ব বিভাগ এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ও বিল রেলের কাছে পাঠাবে। ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার বৈঠকে ছাত্র সংগঠনটির প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে বলেন, পরিষদের কাছ থেকে কাগজপত্র পাওয়ার এক মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এর অন্যথা হলে তাঁরা যে আবার আন্দোলনের পথেই যাবেন তাও কেভম বৈঠকে জানিয়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy