এক রোগীর ছেলের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক ওয়ার্ডবয়। এই ঘটনাকে ঘিরে দিনভর সরগরম ছিল মেডিক্যাল চত্বর। মৃতদেহ সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার শুরু কাল রাত ১০টা নাগাদ। বাইকের ধাক্কায় জখম হন ঘুংঘুর এলাকার বাসিন্দা নৃপেন্দ্র শুক্লবৈদ্য। ছেলে রঞ্জিত তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। তখন ইমার্জেন্সি সেকশনের বাইরে বে়ঞ্চে শুয়েছিলেন ওয়ার্ডবয় নেপাল শুক্লবৈদ্য। রঞ্জিত নেপালবাবুকে উঠিয়ে তাঁর বাবাকে বসাতে চাইলে বচসা বাধে। কথা কাটাকাটির মধ্যে রঞ্জিত নেপালবাবুকে ধাক্কা মারেন। পড়ে গিয়ে প্রচণ্ড চোট পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। অন্যান্য কর্মীরা রঞ্জিতকে ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আজ সকালে মেডিক্যাল কলেজের সর্বস্তরের কর্মীরা কালো ব্যাজ পরিধান করেন। কলেজ ও হাসপাতালের কাজকর্ম অবশ্য যথারীতি চলে। ময়নাতদন্তের পর দুপুরে নেপালবাবুর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পরই মৃতদেহ সামনে রেখে অধ্যক্ষার অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান মেডিক্যাল কর্মীরা। খবর পেয়ে স্থানীয় বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর মেডিক্যাল কলেজে ছুটে যান। কথা বলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। অধ্যক্ষা শিল্পী বর্মনের সঙ্গেও বৈঠক হয় তাঁর। পরে দু’জনেই আন্দোলনকারীদের কথা দেন, নেপালবাবুর স্ত্রীকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হবে। এরপরই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy