তৃতীয় পর্যায়ের খড়্গ পরীক্ষায় তেজপুরের কোষাগারে রাখা ৫৬টি গন্ডারের খড়্গ পরীক্ষা করা হয়। বন দফতর সূত্রে খবর, তার মধ্যে ৫১টি আসল খড়্গ ছিল। পাঁচটি ছিল নকল। সেগুলি পুলিশ কোষাগারে জমা দিয়েছিল। অন্য পাঁচটি খড়্গে কাটা দাগ দেখতে পান পরীক্ষকরা। ওই দাগের যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা মেলেনি। তাই তা তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করা থাকছে। বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন দীর্ঘদিন থেকেই অভিযোগ জানাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন কোষাগারে রাখা গন্ডারের খড়্গগুলির মধ্যে অনেকগুলিই নকল। আসল খড়্গ বন দফতরের কর্মী ও কর্তাদের হাত ঘুরে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। নেচার্স বেকন-সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদে খড়্গ পোড়ানোর কাজ বন্ধ হয়েছে।
রাজ্য সরকার গন্ডারের খড়্গ পরীক্ষার জন্য বিশেষ কমিটিও গড়েছে। গোলাঘাটে সবচেয়ে বেশি খড়্গ ছিল। সেখানকার ১১৯৫টি খড়্গর মধ্যে ১১৯৩টি পরীক্ষা করে আসল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। একটি সিন্দুক খোলা যায়নি বলে তার ভিতরে থাকা ১৯৯৩ ও ১৯৯৫ সালের দু'টি খড়্গ পরীক্ষা করা যায়নি। তৃতীয় পর্যায়ে শুক্রবার তেজপুর ও মঙ্গলদৈয়ের কোষাগারে খড়্গ পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা কমিটির প্রধান মোহনচন্দ্র মালাকার জানান, কাটা দাগ থাকা ৫টি খড়্গ ও পুলিশের জমা দেওয়া পাঁচটি নকল খড়্গ বাদে বাকিগুলি নিয়ে পরীক্ষকদের সন্দেহ নেই। কিন্তু একটি বাক্সের সিল ভাঙা ছিল। তাতে লাগানো তালার চাবিও মেলেনি। তাই ওই বাক্সে থাকা তিনটি খড়্গ পরীক্ষা করা যায়নি। বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে বাক্স খোলার পরে ওই তিনটি খড়্গ পরীক্ষা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy