অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে তলব করা হল। তবে এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি নয়, তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। বৃহস্পতিবার কেজরীওয়ালকে সমন পাঠিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ মার্চ তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
বুধবারই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থাটির তরফে অভিযোগ করা হয় যে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বার সমন পাঠালেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন কেজরীওয়াল। ইডির বক্তব্য, কেজরীওয়াল সরকারি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, দলের ভোটপ্রচারে থাকছেন। কেবল ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারছেন না! ইডির বক্তব্য শোনার পরের দিন, বৃহস্পতিবারই আদালত জানাল যে, কেজরীওয়ালকে ১৬ মার্চ হাজিরা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও একই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় পঞ্চম বার ইডির সমন এড়ানোর পর তা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানানো হয়েছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানিতে বিচারক দিব্যা মলহোত্র নির্দেশ দিয়েছিলেন, আদালতে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে হবে আপের প্রধানকে।
আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালকে মোট আট বার তলব করেছে ইডি। কিন্তু প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। তবে গত সোমবার কেজরীওয়াল জানান, আগামী ১২ মার্চের পর তিনি ইডির প্রশ্নের উত্তর দিতে চান। কেজরীওয়ালের দল আপের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ মার্চের পর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দিয়ে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে চান কেজরীওয়াল। যদিও ইডির জানায়, ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ হয় না। তাই কেজরীওয়ালকে সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে। এই টানাপড়েনের আবহেই আদালত কেজরীওয়ালকে সশরীরে হাজিরা দিতে বলল।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা, দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে গিয়েছেন। অভিযোগ, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy