ছবি: পিটিআই।
দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে রয়েছে করোনার ‘মারাত্মক সংক্রমক’ ‘ডেল্টা’ প্রজাতি বা বি.১.৬১৭.২। এক সমীক্ষার পর এমনটাই দাবি করেছে জিনোমিক কনসর্টিয়া এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতে পাওয়া করোনার এই নতুন প্রজাতির নাম রেখেছে ‘ডেল্টা’। গত অক্টোবরেই নতুন দুই প্রজাতির খোঁজ মিলেছিল ভারতে। তার মধ্যে একটি হল বি.১.৬১৭.১ এবং অন্যটি বি.১.৬১৭.২। এই বি.১.৬১৭.২ বা ডেল্টা প্রজাতির কারণে ভারতে করোনার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ব্রিটেনে করোনার যে ‘আলফা’ প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে, তার তুলনায় ভারতের এই প্রজাতি ৫০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। জিনোম সিকোয়েন্সিং বলছে, ভারতে ১২ হাজার ২০০-রও প্রজাতি রয়েছে। কিন্তু তা ডেল্টা প্রজাতির ক্ষমতার কাছে কিছুই নয়।
এই ডেল্টা প্রজাতিই গোটা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই প্রজাতির কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং তেলঙ্গানা। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে, টিকা নেওয়ার পর আলফা প্রজাতিতে সংক্রমিত হয়েছে এমন কোনও ঘটনা সমানে আসেনি। কিন্তু ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে ছবিটা বদলে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার পরও এই প্রজাতিতে সংক্রমিত হয়েছেন অনেকেই। তবে ডেল্টা প্রজাতির কারণেই যে মৃত্যু বেশি হয়েছে বা আক্রান্তদের পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে, এমন নির্দিষ্ট কোনও প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।
ওই সমীক্ষায় দেশে মোট ২৯ হাজার স্যাম্পলের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছিল। তার মধ্যে বি ১.৬১৭ পাওয়া যায় ৮ হাজার ৯০০টি স্যাম্পলে। তার মধ্যে ১ হাজারেরও বেশি ডেল্টা প্রজাতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy