মোদী জমানায় বিরোধী শিবিরের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছে ইডি। ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানো হচ্ছে, এই অভিযোগে বিরোধী শিবির এককাট্টা। অথচ সেই ইডি-তেই চার ভাগের এক ভাগ পদ খালি পড়ে রয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাঁচ বছরে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে মামলার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। মোদী জমানার নয় বছরে ইডি-র তল্লাশি অভিযানের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৭ গুণ। বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চার গুণ। কাজের এই বিপুল চাপ সত্ত্বেও ইডি-তে ২৫ শতাংশের বেশি পদ খালি।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক আজ সংসদে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায় এখন অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২০৭৫টি। ১৩ জুলাই পর্যন্ত হিসেব বলছে, এর মধ্যে ১৫৪২টি পদ পূরণ করা হয়েছে। ৫৩৩টি পদ খালি।
লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯-এ ইডি আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে ১৯৫টি মামলা দায়ের করেছিল। ২০২২-২৩-এ ইডি তার প্রায় পাঁচ গুণ, ৯৪৯টি মামলা দায়ের করেছে। এর সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলার সংখ্যা ৪১৭৩টি। দুই মিলিয়ে এক বছরে ইডি নতুন ৫১২২টি মামলা দায়ের করেছে। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পলাতক আর্থিক অপরাধী আইনে পদক্ষেপ করার দায়িত্বও ইডি-র ঘাড়ে। ১৯ জন পলাতকের বিরুদ্ধে ইডি মামলা করেছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে ইডি-র অনুমোদিত পদের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১০টি।
অর্থ মন্ত্রকের অবশ্য দাবি, ইডি-র সাফল্যের হার ৯৩.৫ শতাংশের বেশি। মোদী জমানার নয় বছরে ৩১টি আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় বিচার শেষ হয়েছে। ২৯টি মামলায় ৫৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা বলছেন, ইডি গত পাঁচ বছরে ৩৮৬৭টি আর্থিক নয়ছয়ের মামলা দায়ের হয়েছে। সেখানে মাত্র ৩১টি মামলায় বিচার শেষের অর্থ, এক শতাংশেরও কম মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার শেষ হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, ইডি গত নয় বছরে প্রায় ১৬ হাজার ৫০৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)